প্রকাশ: সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪, ৬:৫৫ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা আদায়ের নামে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার দুই আসামির মধ্যে প্রধান আসামি জয়নাল আবেদীন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে মামলা গ্রহণের ৬ ঘণ্টার মধ্যে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করলেও ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও বাকি দুই আসামি শুক্কুর আলী ও সোলায়মানকে এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আজ সোমবার (৩ জুন ২০২৪) দুপুর ৩ তিন টায় রাজিবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা পলাতক দুই আসামি সোলায়মান এবং শুক্কুরকে গ্রেপ্তার করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারবো। গতকাল রবিবার (২ জুন) আসামিদের কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (রাজিবপুর আমলি) নিলে প্রধান অভিযুক্ত জয়নাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানায়, রোববার (২ জুন) গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আমলি আদালতে নেওয়া হলে জয়নাল আবেদীন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু তালেব মিয়া আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামি জয়নাল আবেদীন ও আলম মিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
জিআরও হুমায়ুন বলেন, আসামিদের কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, চর রাজিবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা আদায়ের নামে দিনের পর দিন সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় স্বামীসহ মামলা করতে গেলেও থানায় ঢুকতে না পেরে ফিরে আসেন তারা। পরে স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে বিচার চেয়েও না পেয়ে ক্ষোভ আর অভিমানে বিষপান করেন ওই দম্পতি। চিকিৎসার অভাবে বিষপানের চার দিন পর ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। ঘটনাক্রমে বেঁচে যায় স্বামী।
গণমাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে নড়েচড়ে বসে থানা পুলিশ। বিষপানের ৭ দিন পর নিহতের মামা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে চার জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জয়নাল কসাই ও তার এক সহযোগী আলম কসাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে অপর দুই আসামি শুক্কুর আলী ও সোলায়মান নামে এখনও পলাতক রয়েছেন। আসামিরা সবাই পেশায় কসাই বলে জানা গেছে।