মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে    অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল    অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি চাইলেন ফরহাদ মজহার    সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে : শীর্ষ নির্বাহীদের প্রধান উপদেষ্টা    সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিনন্দন ১০ মসজিদ    ধৈর্য্য ধরুন, উসকানিতে সাড়া দেবেন না: উপদেষ্টা আসিফ    অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা : নিহত ৭   
দুই-তৃতীয়াংশ শিক্ষক ছুটিতে, ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা
বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি:
প্রকাশ: সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪, ৫:৩৬ অপরাহ্ন

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) রসায়নে বিভাগে চলছে তীব্র সেশনজট। ১২ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮জনই ছুটিতে। বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হয়নি একজন শিক্ষকও। ফলে ৪ মাসের সেমিস্টার চলছে ৯মাসে। সেশনজটের কবল থেকে বাঁচতে এবার উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান নিয়েছে রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে উপাচার্য দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়েছে এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রবিবার সকাল ১০ঘটিকা হতে উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান গ্রহন করে এনিম্যাল সাইন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন(ASVM) বিভাগের  শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর ১২ঘটিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী উপাচার্য দপ্তরে অবস্থান গ্রহন করে।

শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, রসায়ন বিভাগের শিক্ষক সংখ্যা ১২জন। তার মধ্যে ৮জন শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন। বাকি ৪জন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান এবং পরীক্ষা কার্যক্রম। মাস্টার্স সহ ওই বিভাগে রয়েছে ৭টি ব্যাচ। এতে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ৩৪৬জন। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়ে আছে মারাত্মক সেশনজটে। সেশনজট থেকে রক্ষা করতে প্রশাসন অবিচল, নিচ্ছেনা কোনো সিদ্ধান্ত। নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না কোনো শিক্ষক। খন্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে অনলাইনে পাঠদানেরও কোনো অনুমতি দিচ্ছেনা উপাচার্য।

শিক্ষার্থীদের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রসায়ন বিভাগ ২০২৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী জানায়, করোনার কারনে তারা সেশনজটের সমস্যায় পড়ে গেছে। তার সাথে নতুন মাত্রায় যুক্ত হয়েছে শিক্ষক সংকট। ১২জন শিক্ষকের মধ্যে ৮জনই রয়েছেন শিক্ষা ছুটিতে। মাত্র ৪জন শিক্ষক দিয়ে কিভাবে এতগুলো ব্যাচ চলছে! তিনি বলেন, রসায়ন বিভাগে ল্যাব থাকে। এই ল্যাবগুলো করার জন্য হলেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক প্রয়োজন। কিন্তু আমরা তা পাচ্ছিনা। আমাদের জন্য বাহির থেকে ২জন শিক্ষক অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু উপাচার্য স্যার আমাদেরকে সে সুযোগটিও দিচ্ছেনা। দিনদিন আমরা সেশনজটে পড়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পড়েও গেছি। আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই। সেশনজট থেকে আমাদের মুক্তি দিতে হবে। 

শিক্ষক সংকটের বিষয়ে জানতে চাইলে রসায়ন বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, আমাদের বিভাগে শিক্ষকের সংখ্যা ১২জন। এর মধ্যে ৮জনই শিক্ষা ছুটিতে আছে। এর মধ্যে ৫জন শিক্ষক একসাথে শিক্ষা ছুটিতে আমেরিকা গিয়েছে। পোস্ট ডক আছেন ১জন। তিনি বলেন, এতজন শিক্ষক যদি একসাথে শিক্ষা ছুটিতে যায় তাহলে শিক্ষার্থীদের কি অবস্থা হবে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে সভাপতি বলেন, প্রশাসন কিভাবে একসাথে এতজনের শিক্ষা ছুটি অনুমোদন করে! তাছাড়া তাদের বিপরীতে একজনও শিক্ষক নিয়োগ দেয়নি।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft