প্রকাশ: শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪, ২:৩৫ অপরাহ্ন
আগামী ৫ই জুন চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এখানে চেয়ারম্যান পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে ছয়জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত, একজন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত অপর এক প্রার্থী হিরো আলমের ভক্ত হিসেবে পরিচিতো।
আটজন প্রার্থী থাকলেও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ব্যাপক আলোচনায় আছেন তিন প্রার্থী। ভোটের মাঠে কারও একক আধিপত্য নেই। কাজেই এবার ত্রিমুখী লড়াই হবে- এমনটাই বলছেন এখানকার সাধারণ ভোটাররা।
তাদের একজন এইচ এম আল আমিন আহমেদ (মটরসাইকেল)। তিনি কেন্দীয় যুবলীগের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। সর্বমহলে রয়েছে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা। দলীয় প্রভাবশালী কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা ও উপজেলাব্যাপী তরুণ শিক্ষিত যুব সমাজ তাঁকে ব্যাপক সমর্থন দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। এছাড়াও প্রচার প্রচারনায়ও তিনি এগিয়ে রয়েছেন। যার ফলে ভোটের মাঠে তাঁর শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে তার নির্বাচনী মাঠ ততটা ভাল হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরেক প্রার্থী এ্যাভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস (ঘোড়া)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক। যার ফলে উপজেলা ও প্রতিটি ইউনিয়নের যুবলীগের একটি বড় অংশ তাকে সমর্থন দিচ্ছে। তাছাড়া তার পূর্ব ছয় ইউনিয়নের একক প্রার্থী হিসেবে তার নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে বলেও আলোচনা হচ্ছে। যার ফলে ভোটের মাঠে তাঁরও ভাল অবস্থান রয়েছে বলে জানা গেছে।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার দৌড়ে আছেন মোঃ ফারুক আহমেদ (আনারস)। তিনি বিএনপির সমর্থক বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়াই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তিনি প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমেই আলোচনায় চলে এসেছেন। তার রয়েছে অসংখ্য সমর্থক। স্থানীয় বিএনপি নেতারা সরাসরি নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপির একটা বড় অংশের ভোট তার ঝুলিতেই পড়বেন বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ফলে শেষ হাসিটা তিনিও হাসতে পারেন বলেও সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও আরেক প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু (কই মাছ)। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে প্রতিদন্ধিতা করে হেরে ছিলেন। তবে এবারের নির্বাচনে তার তেমন শক্ত অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ক্রমশই তিনি নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়ছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক থাকলে, আর মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে এলে মটরসাইকেল, ঘোড়া ও আনারস প্রতীকের মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হবে। তবে শেষ হাসিটা কে হাসবে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, নবীনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ৫ই জুন নবীনগর উপজেলায় ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।