প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪, ১:০৬ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে বিধ্বস্ত হয়েছে সাতক্ষীরার উপকুলীয় জনপদ। সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নিন্মচাপে সুন্দরবন উপকুলীয় শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের প্রাথমিক তথ্যনুয়ায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরায় বিধ্বস্ত হয়েছে ১ হাজার ৪৬৮ বাড়িঘর। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৬ মানুষ। এছাড়া ফসলের মাঠ, অসংখ্য মহস্যঘের-পুকুর লোনা পানিতে ভেসে গেছে। শ্যামনগর, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার পাশাপাশি সাতক্ষীরা শহরেও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ভেঙ্গে ও উপড়ে গেছে বিদ্যুৎ এর খুঁটি। ফলে তিন দিন ধরে উপকুলীয় অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিচ্ছন্ন রয়েছে।
শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নজিবুল আলম জানিয়েছেন, উপকূলীয় শ্যামনগরের গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়াসহ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে ৫৪১ টি কাঁচা বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৯৩টি সম্পূর্ণ এবং ৪৪৮টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রবল জোয়ারে নদীর পানি ছাপিয়ে গাবুরা,বুড়িগোয়ালীনি ও আটুলিয়া ইউনিয়নে কয়েকটি স্থানে লোকালয়ে প্রবেশ করলেও বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মাঝে সরকারী ভাবে সহায়তা দিতে কাজ করছে স্থানীয় জনপ্রতিধি ও প্রশাসন।