প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪, ১:০০ অপরাহ্ন
বন্যাকবলিত জেলা উপকূলীয় বরগুনায় ইতোমধ্যে প্রায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ আংশিক ও সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নতুন করে অনেক এলাকায় বাঁধ ভেঙে বন্যার পানি গ্রামগুলোতে ঢুকে পড়েছে। অনেক এলাকায় বাঁধ দুর্বল হয়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ছয়টি উপজেলায় ১২ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা দুই লাখ ৩১ হাজার ৭০০ জন এবং ১৬ হাজার ৪০৮টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত। ছয় হাজার হেক্টর কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে। চার হাজার ১৫৭ হেক্টর জমির মাছের ঘের ও জলাশয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব জানান, জেলার ৮০৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে নলটোনা, পালের বালিয়াতলী, কালমেঘা, রামনা এবং কালিকাবাড়ী, তেঁতুলবাড়ীয়া, মাঝেরচর, বদরখালী নামক জায়গায় বাঁধ খুবই ক্ষতিগ্রস্ত। যা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছে। যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে সেই সব স্থানে দ্রুত সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি।
জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব নিয়ে ছয়টি উপজেলাতেই ইউএনওরা ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়ে তালিকা তৈরি করছেন। সে অনুযায়ী সকল উপজেলায় সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা কার্যক্রম শুরু করেছি।
এছাড়া বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান রফিকুল ইসলাম।