প্রকাশ: রোববার, ২৬ মে, ২০২৪, ১:১৬ অপরাহ্ন
ঘূর্ণিঝড় "রেমাল"র প্রভাবে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শুরু হয়েছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। আজ রোববার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে ও থেমে থেমে দমকা বাতাস বইছে।
উপজেলায় ৫৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত আছেন বলে জানান পায়রা পাড়ের পিপড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাবু সুজিৎ মজুমদার।
এদিকে পায়রা ও শ্রীমন্ত নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২-৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ রবিবার সকাল দশটারদিকে (২৬ মে) পায়রা সমুদ্রবন্দর এলাকায় ১০ নম্বর বিপদসংকেত দেখতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
সকাল থেকেই উপজেলা প্রশাসন ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা সচেতনামূলক মাইকিং করেন এবং পায়রা নদীর তীরবর্তী এলাকায় গিয়ে সকলকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ তরিকুল ইসলাম জানান,
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন থেকে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলার জন্য ১৫ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, শিশু খাদ্যের জন্য ৫০,০০০ এবং গোখাদ্যের জন্য ৫০,০০০ টাকা বরাদ্দ রয়েছে।
এছাড়াও নগদ অর্থ রয়েছে ১লক্ষ টাকা। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন যারা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। প্রস্তুত করা হয়েছে ৪টি মেডিকেল টিম। খোলা হয়েছে ১টি কন্ট্রোল রুম। এছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট রয়েছে ২০,০০০হাজার ট্যাবলেট।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মির্জাগঞ্জ উপজেলার দলনেতা মোঃ রাব্বি মল্লিক জানান, আবহাওয়া দপ্তর থেকে পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে দিতে বলা হওয়ার পরে উপজেলার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সদস্যরা সচেতনতা মূকল মাইকিং করেন। উপজেলা পায়রা পাড়ের লোকজনকে নিরাপদে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।