আসন্ন বর্ষা মৌসুমেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে না চট্টগ্রামবাসী। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসনে নেয়া চারটি প্রকল্পের কোনটাই শেষ হয়নি, শিগগিরই শেষও হবে না।
নগরবাসীকে এমন দুঃসংবাদ দিয়েছেন খোদ নগরীর মেয়র রেজাউল করিম। আর খাল খননসহ দ্রুত এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীনতা ও লোকবলের অভাবকে দায়ী করছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
চলতি মাসের ৬ তারিখে মাত্র ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিতেই হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর নিম্নাঞ্চল।
জলাবদ্ধতা নিরসনে চারটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে সাত বছরেও এই কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষুব্দ নগরবাসী।
এক নগরবাসী বলেন, আঘাঘণ্টা বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যায়অ অনেক ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়। এসব কাজ করারতো কোনো ফায়দা নেই।
নগরবাসী বলেন, কয়েক বছর ধরে পানি নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু কোনো লাভতো হচ্ছে না।
তিন সংস্থার চার প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ। তাই সামনের বর্ষাতেও জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি নেই বলে স্বীকার করেন সিটি মেয়র।
মেয়র রেজাউল করিম বলেন, সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলেই তখন এটার সুফল আসবে কি আসবে না; সুফল পাওয়া যাবে কি না তখন বোঝা যাবে। তবে আমরা মনে করি, সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে জনগণ বর্তমান যে অস্বস্তিকর অবস্খায় পড়ে সেখান থেকে অনেকাংশে মুক্তি লাভ করবে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুসের দাবি, দাবি, বিভিন্ন সেবা সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আর লোকবল সঙ্কটে প্রকল্প বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের সমস্যাটা কোথায়? সেগুলো নিয়ে বসে চিহ্নিত করতে জবে। হ্যাঁ কিছু ড্রেন যেখান দিয়ে খালে পানি যাবে তার ওপর স্লাব রয়ে গেছে। সেগুলো সরাতে ফান্ডও লাগবে জনবলও লাগবে।
আর সেবা সংস্থা ওয়াসা চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ বলছেন, মহানগরীর ৭৬টি খালের মধ্যে ১৯টি এখন বিলীন হয়ে গেছে। তাই নগরীর পানি সরতে পারছে না।
তিনি বলেন, সিএস, আরএস-এ খালের অস্তিত্ব আছে। বাস্তবে নেই।
১১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকায় ২০১৭ সালে নেয়া চারটি প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিলো ২০২২ সালে। কয়েক দফায় এর ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা, আর ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত বেড়েছে মেয়াদ।