প্রকাশ: সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ১:১৭ অপরাহ্ন
নাটোরের নলডাঙ্গায় ছেলের সঙ্গে এসএসসি পাস করলেন দুই ইউপি সদস্য মা নাসিমা বেগম ও খালা হালিমা বেগম। গতকাল রোববার (১২ মে) এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে তিনজনই পাস করেন।
মা নাসিমা বেগম ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ওমরগাড়ি ফাজিল মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখার কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ- ৩.৬৪ পান, একই মাদ্রাসা থেকে খালা হালিমা বেগম জিপিএ-৩.৮৯ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবং ছেলে সোহান নাটোর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে এসএসসি (সমমান) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৩.৯৬ পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে।
মা নাসিমা বেগম ও ছেলে সোহান নলডাঙ্গা উপজেলার বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর দিয়ারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। এবং তিনি বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সংরক্ষিত ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ড সংরক্ষিত নারী সদস্য।
খালা হালিমা বেগম একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর দিঘা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। এবং তিনি একই ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য।
এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ছেলে সোহান বলেন, আমার মা ও খালার সঙ্গে এসএসসি পাস করে আমি অনেক আনন্দিত। আমার মাকে কেউ অশিক্ষিত বলতে পারবে না। এতে আমি অনেক খুশি। শিক্ষার কোনো বয়স নেই, কোনো লজ্জা নেই। সকলের অন্তত এসএসসি পাশ করা প্রয়োজন। শিক্ষা মানুষকে অনেক দুর নিয়ে যেতে পারে।
মা নাসিমা বেগম বলেন, অনেক আগে থেকে আমার খুব ইচ্ছা আমি এসএসসি পাস করবো। কিন্তু মা-বাবার সংসারে নানা ঝালায় তা পূরণ হয়নি। পরে আমি আমার ছেলের পরামর্শে ভোকেশনাল মাদ্রাসায় ভর্তি হই। এ বছরে এসএসসি পরীক্ষায়য় অংশগ্রহণ করি। সকলের দোয়ায় আমি আমার ছেলে পাস করি। আমি ও আমার পরিবার অনেক আনন্দিত।
খালা হালিমা বেগম বলেন, আমি আমার স্বামীর পরামর্শে বোন নাসিমার সঙ্গে ওমরগাড়ি মাদ্রাসার ভোকেশনাল শাখায় ভর্তি হই। দুই বোন একসঙ্গে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। মহান আল্লাহপাকের রহমতে পাস করেছি। আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন।
বিপ্রবেলঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী বলেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। নাসিমা ও হালিমা আমার পরিষদের ইউপি সদস্য। দুইজনই সমাজসেবার পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন। এবার এসএসসি পরীক্ষায় দুইজনই পাস করেছেন। আমার ব্যক্তি এবং পরিষদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা রইলো। এবং নাসিমার সঙ্গে তার ছোট ছেলেও এসএসসি পাস করেছেন তাকেও শুভেচ্ছা।
আগামী দিনে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার জন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে যতটুকু সহযোগিতা করার প্রয়োজন আন্তরিক ভাবে তা করবো।