প্রকাশ: সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪, ১:২১ অপরাহ্ন
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় সবক’টি উদ্যোগই যেন ভেস্তে গেছে। ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে, ইউসিবি ব্যাংকের সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংকের এবং সিটি ব্যাংকের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের একীভূতকরণ হচ্ছে না। তবে এরমধ্যেই তড়িঘড়ি করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) একীভূতকরণের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
আর বিডিবিএল ব্যাংকের খেলাপি ৪৪ দশমিক ২২ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। দুই ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্তারা এতে সই করেন। রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক বলছে, দুই ব্যাংক স্বেচ্ছায় একীভূত হচ্ছে। তবে বিডিবিএলের ভাষ্য, এখন না গেলে জোর করে একীভূত করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা যায়, সোনালী ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের খেলাপি ১৬ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছাড়াও সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সময়ে উপস্থিত ছিলেন। তবে প্রায় ঘণ্টাখানেক দেরি করে সেখানে আসে বিডিবিএলের প্রতিনিধি দল। যদিও অনুষ্ঠানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাউকে ডাকা হয়নি।
এই সমঝোতা স্বাক্ষরের পর কয়েক ধাপে পুরোপুরি সোনালী ব্যাংকে মিশে যেতে বিডিবিএলের সময় লাগবে অন্তত দুই বছর। তবে সমঝোতার পর নিজেদের ইচ্ছায় একীভূতকরণের প্রক্রিয়া শুরুর দাবি করেছে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বলেন, অডিট ফার্ম নিয়োগ দেয়া হবে। এই অডিট ফার্ম দুটি ব্যাংকের সম্পদ আলাদাভাবে মূল্যায়ন করবে। এটার জন্য অন্তত ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগতে পারে। এরপর আরও কিছু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া রয়েছে, সেগুলো পূর্ণ হলেই দুটি ব্যাংক পুরোপুরি একীভূত হবে।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিক বলেন, আমাদের দুই ব্যাংকের যে অভিজ্ঞতা, এই দুটো একত্রিত করবো। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য বড় একটা অর্জন হিসেবে ধরা দেবে। অনেক বিচার-বিবেচনা করেই আমরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি।
অন্যদিকে বিডিবিএলের চেয়ারম্যান শামীমা নার্গিস জানান, শুধু খেলাপি ঋণ ছাড়া অন্যান্য আর্থিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছিল প্রতিষ্ঠানটি। তবে সরকারের ইচ্ছায় এক হতে হচ্ছে। তিনি বলেন, এটা সরকারের সিদ্ধান্ত। সমঝোতা চুক্তির বিষয়টি কিন্তু আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১২ তারিখে জানানো হয়। এখন আমরা যদি একীভূতকরণে না আসি তাহলে সামনের বছরগুলোয় বাধ্যতামূলক একীভূতকরণে যেতে হবে।