প্রকাশ: রোববার, ১২ মে, ২০২৪, ৯:১০ অপরাহ্ন
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে সোনায় মোড়ানো বোরো ধানের শীষ। দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ যেন নয়ন জুড়ানো হলুদ আর সবুজের অপরূপ সমারোহ। কোথাও কোথাও পাকা ধান কাঁটা শুরু হয়েছে, বাকিটা এখনও শোভা বর্ধন করছে ক্ষেতে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে।
উপজেলায় বোরো ধানের জন্য এবারের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য ছিল ১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমি। কৃষি অফিস আরও জানিয়েছে আবাদের শুরু থেকে বোরো ধানের বীজ, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য উপকরণ সহযোগিতা দেয়া হয়েছে কৃষকদের।তাই এবছর আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে গেছে।
“বৃষ্টি হইলে সমস্যা নাই। বাতাসি ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হইলে আমাগো সমস্যা। পাকা বোরো ধানের অনেক ক্ষতি অইব”। কথাগুলো বলছিলেন সদরপুর উপজেলার সতেরো রশি গ্রামের কৃষক আমিন সরদার। তার সাথে একমত পোষণ করেন মটুকচরের কৃষক হাসেম সরদার, আকটেরচর কৃষক আয়নালসহ অনেক কৃষক।
এপ্রিল মাস জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থাকলেও ইরি ধানের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা ফুরফুরে মেজাজে আছে। সাম্প্রতিক দেশজুড়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় উপজেলার কৃষকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। আকস্মিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ কালবৈশাখি ঝড়, শিলাবৃষ্টি, তীব্র রৌদের দাপদাহে ধানে চিটা পড়া এবং ন্যায্যমূল্য পাবে কি না এটাইচিন্তারবিষয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিটুল রায় জানান, ধান খেতে তাপদাহ মোকাবিলা করতে সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করা যায়। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করতে পারে। ৮০% ধান পেকে গেছে যতদ্রুত সম্ভব পাকা ধানগুলো কেটে গোলায় নিয়ে আসার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।