প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪, ৫:২৪ অপরাহ্ন
গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৬ নং ফেরিঘাটে অসময়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এতে করে এলাকাবাসীর মনে আতঙ্ক। এ নদী ভাঙনের কোন ব্যবস্থা না নিলে প্রায় ১৫ শত পরিবারের ঘর বাড়ি চলে যাবে নদীগর্ভে।
এখানে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে চার-পাঁচশত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন এটিও নদীতে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্কুলে যাতায়াতের যে রাস্তাটি আছে তা খানিকটা ভেঙে গিয়েছে। এ রাস্তাটি যদি নদীতে ভেঙে যায় তাহলে স্কুলে যাতায়াতের সমস্যা হবে শিক্ষার্থীদের। ঐ অঞ্চলে এলাকাবাসী যাতায়াতের রাস্তাও থাকবে না। নদী ভাঙনের কারণে অনেক পরিবার নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। এলাকাবাসী বলেন, আমাদের সব সময় ভয়ে
ভয়ে থাকতে হয় এই বুঝি আমাদের বাড়িঘর চলে গেল নদীতে। এই নদীটি বাঁধার কথা ছিল অনেক আগে বিন্তু আজ পর্যন্ত কোন কাজ করেনি। আমরা ছেলে সন্তান নিয়ে রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি না। যেমন ভাঙন শুরু হয়েছে মনে হচ্ছে কাল বিকেল বা তারপরে আমাদের বাড়িঘর ভেঙে নিয়ে যেতে হবে, কিন্তু কোথায় যাব যাওয়া ঠিকানা নেই। সরকারের কাছে এইটুকু আবেদন যেন সরকার আমাদের নদীটি শাসন করে দেয়। এ সময় এলাকাবাসী আরো একজন বলেন, নদী ভাঙ্গনের কথা শুনে বি আই ডব্লিউ টি এ লোকজন এসে দেখে কাজের কথা বলে গিয়েছে কিন্তু এখনো কাজ শুরু হয়নি। আমাদের বাড়িঘর ৬-৭ বার ভেঙেছি আর আমাদের সামর্থ্য নেই যে আমরা ভেঙে অন্য জায়গায় যাব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন আমাদের এই নদী
ভাঙার যেন স্থায়ী একটা সমাধান করেন। এলাকার স্থানীয় এক যুবক মো. তোফাজ্জল হোসেন তপু বলেন, আমরা সরকারের কাছে রিলিফ স্লিপ কোন কিছু চায় না আমরা শুধু চাই আমাদের জায়গা জমি যেন থাকে ভিটাবাড়িটা থাকে তাহলেই আমরা কিছু করে খেতে পারব। সরকার যেন আমাদের নদী ভাঙ্গনের একটা স্থায়ী সমাধান করে দেন।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলা একটি ভাঙন প্রবণ এলাকা। আমি সকালে শুনতে পাই ৬ নং ফেরিঘাটে ভাঙন শুরু হয়েছে সাথে সাথে আমি এলাকায় এসে পরিদর্শন করি এবং আমি এই রিপোর্টগুলো জেলা প্রশাসক এবং বিআইডব্লিউটিএ এর সাথে কথা বলেছি তারা দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বস্ত করেছেন।