প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৬:২৪ অপরাহ্ন
ঝালকাঠির সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রাইভেটকারে থাকা রাজাপুরের এক পরিবারের ৪ জনের জানাজা দাফন সম্পন্ন, এলাকায় শোকের মাতাম।
গতকাল বুধবার রাতে ৪ জনের লাশ উত্তর সাউথপুর গ্রামে নিয়ে আসলে নিহতের আত্মীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পরেন। তাদের স্মৃতি আওরাতে থাকেন। সকাল থেকেই দুর দুরান্ত থেকে আত্মীয় স্বজন ও গ্রামবাসী নিহতের লাশ শেষবারের মত দেখতে এসে বিমর্ষ হয়ে হয়ে পরে। দুপুরের পরে তাদের পারিবারিক গোরস্থানে কবর দেয়া হয়।
গতকাল বুধবার দুপুর ২টার দিকে খুলনা-ঝালকাঠি মহাসড়কে গাবখান ব্রিজের টোল প্লাজায় টোলের টাকা পরিশোধ করছিলো একটি প্রাইভেটকার। ঠিক সেই সময়ে ঝালকাঠি শহরমুখী একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থাকা তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। এতে প্রাইভেট কারসহ অন্য তিনটি ইজিবাইক ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। মুহুর্তেই ঝড়ে যায় নারী শিশু সহ ১৪ জনের তাজা প্রাণ। সেই প্রাইভেট কারের চালক সহ ৭ জন আরোহী-ই নিহত হয়। তাদের মধ্যে একই পরিবারের ৪ জন।
নিহতরা হলো, রাজাপুর উপজেলার উত্তর সাউথপুর গ্রামের হাসিবুর রহমান (৩৩), তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার সোনিয়া (২৮), তাদের মেয়ে তাকিয়া আক্তার (৩), ছেলে তাহমিদ রহমান (০১), সোনিয়ার সদ্য বিবাহিতা বোন উপজেলার সাংগর এলাকার নিপা আক্তার (২২) ও তার স্বামী বিমান বাহিনীর সদস্য ইমরান হোসেন (২৩) ও প্রাইভেটকার চালক উত্তর উত্তমপুর গ্রামের ইব্রাহিম(৩৫)।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে একই পারিবারের ৪ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়। অপরদিকে প্রাইভেটকার চালক ইব্রাহিম ও রিপার জানাজা সকাল নয়টায় তাদের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাদের এমন মৃত্যুতে এলাকায় চলছে শোকের মাতম এবং জানাজা নামাজে ছিল হাজারো মানুষ ঢল।
কবর খননকারীরা জানান, স্বাধীনের পরে এ এলাকায় একসাথে একই পরিবারের চারটি কবর খননকাজ করিনায়।
নিহতদের স্বজন ও এলাকাবাসীর দাবী, গাবখান সেতু টোল প্লাজার টোল ঘরটি দুরে সরিয়ে নেওয়া হোক অথবা টোল ঘরটি বন্ধ করে দেওয়া হোক এবং এ দুর্ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচারের দাবী জানান তারা।