মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে যাচাই-বাছাই শেষে মুক্তিযোদ্ধা জাতীয় কাউন্সিলে পাঠানো হয়। তারপর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট প্রকাশ করা হয়। যদি কোনো ব্যক্তি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে থাকেন, সেটা কেউ অভিযোগ করলে বা মন্ত্রণালয়ের নজরে এলে তা বাতিল করা হবে। প্রমাণ হওয়ায় আট হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। ভুয়া তথ্য দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
মুজিবনগরকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিবনগরকে যাতে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়, সে বিষয়ে অল্প দিনের মধ্যেই একটি প্রস্তাব একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) তোলা হবে। আগামী বছর ১৭ এপ্রিলের আগেই এ বিষয়ে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে। এটি হলে দেশি বিদেশি পর্যটকরা এখানে আসবে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তারা জানতে পারবে। বুধবার মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস. এম. কামাল হোসেন এমপি, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম, এ খালেক উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম. মোজাম্মেল হক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের খুলনা বিভাগীয় ডিআইজ মঈনুল হক, মেহেরপুর ২ আসনের সাংসদ এস এম নাজমুল হক, চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাংসদ আলী আজগর টগর, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হকসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। এ উপলক্ষে আজ সকালে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতারা।