ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে ছোটদের মধ্যে হওয়া ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার দুপুরে বড়দের মধ্যে হওয়া ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। উপজেলার ফান্দাউক গ্রামের এ ঘটনায় পরিস্থিতি বিবেচনায় এলাকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে মো. নূরে আলম, মো. সজল, নাছির মিয়া, সাগর মিয়া, শিমুল মিয়া, তফু মিয়া, দিদার মিয়া, কাজল মিয়া, ফসাল শিয়া, হৃদয় মিয়া ও নূরেম বেগম,গোলাম নূর, রুবেল মিয়া, আলা উদ্দিন, শাহনাজ বেগম, জিনিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও রুজিনা বেগমের নাম জানা গেছে। তারা প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ফান্দাউক গ্রামের ছোটদের দুই পক্ষের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। খেলা চলাকালীন দুই তরুণের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বাগবিতণ্ডার খবরটি বড়দের কাছে পৌঁছলে এর নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এর মধ্যে একটি পক্ষকে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল আউয়াল ও অপর পক্ষটিকে মো. রিপন মিয়া সমর্থন দেয়। বিষয়টি স্থানীয়দের মাধ্যমে বিচার-সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির আলোচনা হয়।
এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর সাধুপাড়া নূরে মদিনা মসজিদ থেকে বের হলে দুই পক্ষের মধ্য বাগবিতন্ডা হয়। এক পক্ষ আরেক পক্ষের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
আব্দুল আউয়াল জানান, ছোটদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশের ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু শুক্রবার নামাজ পড়তে গেলে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকজন আমাদের পক্ষের লোকদের উপর হামলা করে।
রিপন মিয়ার পক্ষের মো. রাজা মিয়া অবশ্য অভিযোগ করেন, ছোটদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে নামাজের পর আউয়াল মিয়ার লোকজন তাদের উপর হামলা করে। অথচ বিষয়টি সামাজিকভাবে শেষ করার কথা ছিলো।
নাসিরনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সোহাগ রানা জানান, ছোটদের মধ্যে হওয়স ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি বিবেচনায় এলাকায় অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।