প্রকাশ: রোববার, ৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৬:৪০ অপরাহ্ন
পটুয়াখালীর বাউফলে কালবৈশাখীর তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসময় বজ্রপাতে রাতুল (১৪) নামের এক কিশোর ও গাছের চাপায় সুফিয়া বেগম(৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছে। গোসিংগা গ্রামে ঘরের উপর গাছ ভেঙ্গে পরে মা সাবিহা (৩০) তার মেয়ে ইভা (১২) ও দুই বছর বয়সী শিশু গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন।
এছাড়াও পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের উত্তর বাদুরা গ্রামের বনদে আলী মৃধা বাড়ীর মোঃ তৈয়ব আলী মৃধার একটি গরু আজ বজ্রপাতে মারা গিয়েছে বলে জানা যায়।
বাউফলে নিহত রাতুলের বাড়ি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামে। বাবার নাম জহির সিকদার। তাকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতে তিনি মারা গেছেন। আর সুফিয়া বেগমের বাড়ি উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়েনর চরআলগী গ্রামে। স্বামীর নাম মৃত আহম্মেদ প্যাদা। ঘরের উপর গাছ চাপা পরে তিনি নিহত হন।
সকাল সাড়ে ১০ টা থকে ১১ টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ৩৫ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে কাঁচা বাড়ি-ঘর, গাছ গাছালি উপরে গেছে। বাউফলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এসময় ব্যপক শীলা বৃষ্টি ও বিরামহীন ভাবে বজ্রপাত হয়েছে।
এদিকে বাউফল পৌর শহরের থানার সামনে সালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার একটি ভবনের টিনের চালা উপরে রাস্তায় পরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। পশু হাসপাতাল রোডে গাছ ভেঙে সড়কের উপর পরায় সেখানেও চলাচল বন্ধ রয়েছে।ঝড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় খাম্বা ভেঙ্গে পরার খবর পাওয়া গেছে। শীলা বৃষ্টিতে তরমুজসহ রবি ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান বলেন, রাতুলকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সে মারা গেছে। তবে তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে মারা যেতে পারে।
দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম মারা যান। তিনি তখন ঘরের মধ্যে ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির গাজী বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।