র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং সন্মানিত নাগরিকদের জন্য টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর অপরাধে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে র্যাব জনগনের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়
২। ভিকটম রফিকুল ইসলাম মোল্লা (৫৫), খুলনা সদর থানাধীন ৪৭ কেডি ঘোষ রোড পাঠক প্রিয় লাইব্রেরীতে চাকুরি করতেন এবং পাঠক প্রিয় লাইব্রেরীর ৩য় তলার গোডাউনের পার্শ্বে তিনি বসবাস করতেন। আসামীদ্বয় একই লাইব্রেরীতে লেবার এর কাজ করতো। সেই সুবাদে আসামীদ্বয়ের সাথে ভিকটিমের মাঝে মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতো এবং পরবর্তীতে তারা আবার একই সাথে কাজ করতো।
গত ০১/০৪/২০২৪ খ্রিঃ রাত অনুমান ০৮.১০ ঘটিকার সময় উক্ত লাইব্রেরীর সকল কর্মচারীগণ লাইব্রেরী তালাবদ্ধ করে তারাবির নামাজ আদায় করার জন্য মসজিদে যায়। পরবর্তীতে রাত্র অনুমান ১০.৩৫ ঘটিকার সময় লাইব্রেরীর কর্মচারীগণ তারাবির নামাজ আদায় শেষ করে লাইব্রেরীর ম্যানেজার শাহজাহান (৫৫), দেখতে পান যে, পাঠক প্রিয় লাইব্রেরীর ৩য় তলার গোডাউনের পিছনের দরজা খোলা এবং গোডাউনের রুমের মধ্যে পিছন দরজার সামনে ভিকটিমের রক্তমাখা লাশ পড়ে আছে। ম্যানেজার শাহজাহান ভিকটিমের রক্তমাখা লাশ দেখতে পেয়ে ডাকচিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন এবং ভিকটিমের রক্তমাখা মৃতদেহ দেখতে পান।
পরবর্তীতে বিষয়টি খুলনা থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং এক পর্যায়ে গোডাউনে লাগানোর সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনায় দেখা যায় ভিকটিমকে মোঃ চাঁন মিয়া সরদার (৪৫) এবং মোঃ হৃদয়(২৫) মারপিট করে এবং গলায় বই বাঁধার সুতার তৈরী পাঁকানো কালো চিকন রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের ছেলে বাদী হয়ে খুলনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনার পর থেকে আসামীদ্বকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে জানা যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখ আনুমানিক ১৪:৩০ ঘটিকার সময় র্যাব-৬, (স্পেশাল কোম্পানি) এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, রফিকুল হত্যা মামলার আসামী ডিএমপি ঢাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে অভিযানিক দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে র্যাব-৪, সদর কোম্পানী, ঢাকা এর সহযোগিতায় মিরপুর-১২, ডিএমপি ঢাকা হতে রফিকুল হত্যা মামলার প্রধান অন্যতম আসামী ১। মোঃ হৃদয়(২৫), পিতা-হান্নান পাসারী, সাং-নিক্সন মার্কেট, বাবুস সালাম জামে মসজিদ এর পিছনে রেলওয়ে বস্তি, থানা-খুলনা সদর, জেলা-কেএমপি খুলনাকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিসাজ্বাদে উক্ত আসামী হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।