প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪, ৬:৪১ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জে একটি দলছুট "কালোমুখো হনুমানের" আক্রমনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুই শিক্ষার্থীকে কামড়িয়ে গুরুতর আহত করেছে। আহতরা হচ্ছে তিশা আক্তার ও আরিফা (১১)।
আহতরা মনোহরখালি মাধ্যমিক বিদ্যালযয়ের ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
এদিকে গত কয়েদিন আগে মির্জাগঞ্জ বাজারের এক ব্যবসায়ী রিপন চন্দ্র দাস(৩৫) কে কামড়ি গুরুতর আহত করে ও বর্তমানে সে ঢাকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেশ কিছুদিন ধরে মানুষকে আক্রমণ করেছে হনুমান। এর ফলে এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। হনুমানের আক্রমণ থেকে রক্ষায় শিক্ষকসহ একাধিক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এর প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এরমধ্যে হনুমানের দাপটে আতঙ্ক এলাকায় হনুমানের জন্য অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে হিমসিম খাচ্ছেন। কারণ যে কোনও সময় যে কোনও মুহূর্তে আক্রমণ করতে পারে হনুমান।
মানোহরখালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বাবু নিখিল চন্দ্র মিত্র বলেন," কালোমুখো হনুমানকে নিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি আরো কয়েকজনকে কামড়ে আহত করেছে। আজ বৃহস্পতিবার ২১মার্চ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী স্কুলে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় হনুমান তাদের দিকে তেড়ে আসে এবং দুইজন শিক্ষার্থীকে কামড় দিয়ে গুরুতর আহত করে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ আলাউদ্দিন মাসুদ বলেন, দলছুট হনুমান খবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসে। প্রাণী সংরক্ষণের দায়িত্ব বন বিভাগের, তারা শুধু প্রাণীদের চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করেন। আর কেউ যেন হনুমানটির আক্রমনের শিকার না হয় সে লক্ষে বন বিভাগকে অবহিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেন মং বলেন, হনুমানের আক্রমণের কথা অনেকদিন পর্যন্ত শুনছি। হনুমানের আঁচড় ও কামড়ে জলাতঙ্ক হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। গুরুতর বেশি হলে ভ্যাকসিন নিতে হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাঃ সাইয়েমা হাসান বলেন, খুলনার বন্যপ্রানী ও প্রকৃতি সংরক্ষর বিভাগের এক্সপার্ট টিম হনুমানটিকে উদ্ধার করবেন ও তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।