বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার নিশ্চিতের দাবি হাসনাত ও সারজিসের    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ    একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো    ২০১ রানের বড় হার বাংলাদেশের    চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে   
রাজশাহীর আলোচিত সনি হত্যা মামলায় দুই তরুণ-তরুণীর যাবজ্জীবন
নজরুল ইসলাম জুলু:
প্রকাশ: সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪, ৪:০৬ অপরাহ্ন

রাজশাহীর আলোচিত কিশোর মো. সনি (১৬) হত্যা মামলায় দুই তরুণ-তরুণীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যার আগে সনিকে অপহরণের দায়ে আসামিদের আরও ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। 

আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মহিদুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন হলেন- নগরীর হেতেমখাঁ সাহাজীপাড়া মহল্লার মো. মামুনের ছেলে মো. মঈন ওরফে আন্নাফ (২০) ও তাঁর বান্ধবী হাবিবা কুমকুম সাবা ওরফে ঐশী (১৯)। মামলায় মঈনের মা এবং মামাও আসামি ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঈনের মা বিথী খাতুন রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।

নিহত সনি জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম পাখির ছেলে। ২০২২ সালের ৩ জুলাই ছিল তাঁর জন্মদিন। সেদিন রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে তাঁকে হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাঁকে। এ নিয়ে নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন সনির বাবা।

মামলার এজাহারে ঐশীর নাম ছিল না। ঘটনার পর মহিলা দলের নেত্রী বিথী তাঁর ছেলে মঈন ও মঈনের বান্ধবী ঐশীকে নিয়ে পালিয়ে যান। ৮ জুলাই রাতে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার প্রতাপ গ্রাম থেকে এই তিনজনকে আটক করে র‍্যাব। পরে পুলিশ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এদের মধ্যে পাঁচজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, শিশু আইনে অপ্রাপ্তবয়স্ক পাঁচজনের বিচার চলছে নারী ও শিশু আদালতে। আর প্রাপ্তবয়স্ক চারজনের বিচারকাজ শেষ হলো দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে। কুপিয়ে হত্যার দায়ে প্রধান আসামি মঈন ও তাঁর বান্ধবী ঐশীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অপহরণের দায়ে আরও ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁদের। অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাঁরা হত্যার পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত। এ অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি তাই আইনি বিবেচনায় আদালত তাঁদের খালাস দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় চার আসামির সবাই হাজির ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু আরও বলেন, আদালত রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি মৃত্যুদণ্ড পাওয়ার মতো অপরাধ করেছেন। কিন্তু তাঁদের বয়স কম। সে বিবেচনায় মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে তাঁদের কারাদণ্ড দেওয়া হলো। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী।

আইনজীবী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার সনিও অপ্রাপ্তবয়স্ক ছিল। তাঁকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আর সাজাপ্রাপ্ত দুজনের বয়স ১৮ বছরের বেশি। তাই তাঁদের সর্বোচ্চ সাজা হলে খুশি হতাম। এ রায়ে খুশি হতে পারিনি।’

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft