প্রকাশ: রোববার, ১০ মার্চ, ২০২৪, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
লক্ষ্মীপুরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত দুই মামলায় কারাগারে গেলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও রায়পুরের দুইবারের সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়া।
সাবেক এমপির জামিন নামঞ্জুর করায় রায়পুরে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম মিঠু, পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে হেলাল মামুন, কেরোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলমসহ বিএনপি ও জামায়াতের আট নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালতে নাশকতার মামলায় হাজিরা দিতে গেলে সাবেক এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়াকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলাম।
এদিকে আবুল খায়েরকে আটকের প্রতিবাদে রায়পুর শহরে বিক্ষোভ করলে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ছয় নেতা এবং রমজানকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করলে সেখান থেকে জামায়াতের দুই নেতাকে পুলিশ আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, মিথ্যা মামলায় আবুল খায়ের ভূঁইয়াসহ রায়পুরের বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
গত ১৮ জুলাই বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপির উদ্যোগে শহরের গোডাউন রোডের বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বাসভবনের সামনে থেকে পদযাত্রা বের করা হয়। পদযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ঝুমুর স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি রামগতি সড়কের আধুনিক হাসপাতালের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
এতে জেলা ছাত্রদলের সভাপতিসহ অন্তত ৫০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দুই শতাধিক নেতাকর্মী। পদযাত্রা চলাকালীন সামাদ এলাকায় কৃষক দল কর্মী সজীব হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
ঘটনার পরদিন সদর থানায় পৃথক চারটি মামলা করা হয়। পুলিশ বাদী হয়ে দুইটি মামলা করে। এ চারটি মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাহাবুদ্দিন সাবু, অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমানসহ প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
ওই মামলায় এ্যানি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু এবং যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান জামিনে রয়েছেন।