প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪, ৮:২৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪, ৮:৩০ অপরাহ্ন
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে গজারিয়া-মুন্সিগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্ডার খায়রুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুমানিক ১০০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় থানার ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের স্লোগান দিতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। এতে মহাসড়কের দুই পাশের সড়কে দীর্ঘ নয় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় যানজটের। এ সময় ভোগান্তি পোহাতে হয় সড়কে আটকে থাকা যানবাহন চালক ও যাত্রীদের।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে প্রায় তিন ঘণ্টা পরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাসে মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে মহাসড়কে নেয়া অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ান ভুক্তভোগীরা। এ সময় দ্রুত দাবি আদায় না হলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ এলাকার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্থানীয়দের খাওয়া-দাওয়াসহ দৈনন্দিন কার্যক্রম। ফলে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষের লোকজন উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের দড়ি বাউশিয়া এলাকায় অবৈধ গ্যাস সঞ্চালন লাইন বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়ে স্থানীয়দের। এ সময় আশপাশের বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে মাইকিং করে লোক জড়ো করে তিতাস কর্মকর্তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ধরে এলাকাবাসী। এতে বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নের কার্যক্রম। এ সময় তিতাস কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের বাধা দিলে উত্তেজিত সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে অংশ নিয়ে প্রথমে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাউশিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নেয়, এরপর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
এতে দীর্ঘ ৯ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। অচল হয়ে পড়ে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল। পরে ঘটনাস্থলে গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার, মুন্সিগঞ্জ সদর-গজারিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থান্দার খায়রুল হাসান, মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আল ফারুকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।