প্রকাশ: শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪, ৬:১৭ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী শহরের কলাতলা এলাকার ভাড়া বাসায় মীম আক্তার (১৯) নামের এক নারী তার স্বামী রাকিবকে (৩০) কুঁপিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ মীমকে হেফাজতে নেওয়ার পাশাপাশি রাকিবের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ জানায়, মীম নামের এই নারী তাঁর স্বামীকে খুন করে পটুয়াখালী সদর থানায় গিয়ে দায়িত্বরত অফিসারকে বিষয়টি জানান। পুলিশ তার কাছ থেকে বাসার ঠিকানা নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে রাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত রাকিবের মাথায় কোপের চিহ্ন রয়েছে।
রাকিবের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আসরের সময় রাকিব ও মীম বাসায় আসছে। আমি আসরের নামাজ পড়তে গেছি। নামাজ পরে এসে দেখি তারা বাসায়। আমার ছোট ছেলে এসে বলে বড় ভাইয়ের (রাকিব) গলার মধ্যে কেমন যেন শব্দ করে। এ খবর শুনে আমি মীমদের ঘরে গেলে মীম জানায় রাকিব ঘুমাচ্ছে। এ কথা শুনে ফিরে আসি। পরে আমি মাগরিবের নামাজ পরে ফিরে আসার পর ছোট ছেলে জানায়, রাকিবকে মেরে ফেলছে।’
রাকিবের বাবা নজরুল ইসলাম এ ঘটনায় মীমের ফাঁসি দাবি করেন।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এর আগেও মীমের অন্য যায়গায় বিয়ে হয়েছিলো। সেই সংসার ভেঙে মীম রাকিবকে বিয়ে করে সংসার শুরু করে৷ প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝামেলা হতো। চিৎকার চেঁচামেচি শোনা যেতো। না না কারনে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াঝাটি লেগে থাকতো।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আহমাদ মাঈনুল হাসান বলেন, ‘হত্যার বিষয়টি আশেপাশের লোকজন টের পায়নি। খুন হওয়া ব্যক্তির ছোট ভাই ঘটনাস্থলের একটু দূরে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, তিনিও টের পাননি। কেন কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।’