প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ১:১৭ অপরাহ্ন
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ৬ মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মিজানুর রহমান (৩৮) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার দেবীগঞ্জ পৌর সদরের মুন্সীপাড়া এলাকায় অবস্থিত আলহেরা মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ঐ এলাকার প্রায় হাজারের অধিক নারী পুরুষ মাদ্রাসাটি ঘিরে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মাদ্রাসার একটি কক্ষে লুকিয়ে থাকা ঐ শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটক মিজানুর রহমান নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ এলাকার লতিফুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ, ভুক্তভোগী ছাত্রদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানান, আলহেরা মাদ্রাসায় আবাসিক ও অনাবসিক ব্যবস্থায় পাঠদান চালু আছে। মাদ্রাসার শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গতকাল বলাৎকারের অভিযোগ পায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ যৌন নির্যাতনের বিষয়টি পুলিশকে না জানিয়ে আজ বিকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবক ও
স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আনুমানিক সন্ধায় ৭ টা'র দিকে মাদ্রাসাটি ঘিরে ফেলেন। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে থাকলে পুলিশে খবর দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ।
স্থানীয় কাউন্সিলর লেবু ইসলাম বলেন, এমন ঘটনা পূর্বেও অনেকবার ঘটেছে, কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
জয়নুল আবেদীন জয় নামে এক শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রাসার ভিতরে প্রায় কনডমের প্যাকেট পাওয়া যায়। এ রকম দৃশ্য দেখার পর তিনি তার সন্তানকে মাদ্রাসা থেকে বের করে নিয়ে যান।
স্থানীয়রা জানায়, ঐ শিক্ষক প্রায়ই শিক্ষার্থীদের মারপিট করেন। মধ্যেরাতে ঐ শিক্ষক কর্তৃক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বেধড়ক মারপিটের ভিডিও সাংবাদিকদের দেখান এলাকাবাসী।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, এ ঘটনায় ঐ মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।