প্রকাশ: রোববার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: রোববার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:২৪ অপরাহ্ন
শেরপুরে নিজাম উদ্দিন আহমেদ মডেল কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগণ। আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষক মোঃ মোক্তারুজ্জামান, রিতেশ কর্মকার, মো. উকিল মিয়া এবং ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের চৈতনখিলা বটতলা বাজারে অবস্থিত নিজাম উদ্দিন আহমদ মডেল কলেজটি ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মোঃ সাইদুল ইসলাম সাঈদ এর নিয়োগ, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর অধ্যক্ষ মোঃ সাইদুল ইসলাম সাঈদ ইসলাম শিক্ষা প্রভাষক পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে ৩১ অক্টোবর এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। অথচ তিনি একই বছর ২০১৫ সালের ১১ জুলাই চর জঙ্গলদি রাহেতুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে একই বছর ২২ জুলাই উক্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের যোগদান করেন। নিজাম উদ্দিন আহমেদ মডেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে। অথচ তিনি ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।
কিন্তু তার পূর্বে আরো ৮ জন অধ্যক্ষ ছিলেন ওই কলেজ। জনবল কাঠামো ও এমপি ও নীতিমালা ২০১৮ এ ১১.২ ভঙ্গ করে ঘুপসি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মো. সাইদুল ইসলাম সাঈদ প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি এর সাথে নীতিমালা ১৭.৩ এর ধারা লঙ্ঘন করে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হয়েছে ২০১৮ ঘ এর ‘খ’ জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য ১২ বছরের অভিজ্ঞতাও নেই তা জানা সত্তবেও অবৈধভাবে পঞ্চম গ্রেডের বেতন সুবিধা ভোগ করে আসছেন।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আরো যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ছকে শিক্ষক/কর্মচারী ও আত্মীয়স্বজনের মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, জনবল কাঠামো ও এমপিওনীতিমালা ২০১৮ এর ১৭.৩ অনুযায়ী তথ্য গোপন করে ভুয়া জাল শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, নামে বেনামে শেরপুর জেলায় বেশ কয়েকটি জমি ক্রয় করেছেন যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা, এমপিও বাবদ শিক্ষক/কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রায় ৩৪ লক্ষ টাকা উত্তোলন, কলেজের অভ্যন্তরীন আয় ভর্তি, ফর্ম ফিলাপ, টিউশন ফি, মেয়ে শিক্ষার্থীদের বেতন ইত্যাদি বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যে ও বানোয়াট ও ভিত্তিহিন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সকল কাগজপত্র দেখেই আমাকে অধ্যক্ষের দায়িত্বে দিয়েছেন। শেরপুর জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খাইরুম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত- পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।