হালকা বাতাস ও মিষ্টি রোধের আবহাওয়ায় মুসল্লেিদর মনে সতেজ আমেজ। মুরব্বীদের গায়ে সাদা পাঞ্জাব মাথায় সাদা টুপি, বগলে বা হাতে জায়নামাজ, শিশু-কিশোরদের গায়ে বাহারী রংয়ের পাঞ্জাবী পায়জামা ও মাথায় টুপি পরিহিত দলবেধে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে।
সেখানে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় সড়ক মহা-সড়কে যে যা পারছেন পত্রিকা পলিথিনের সামিয়ানা প্লাষ্টিকের বস্তা বিছিয়ে শৃংখলাবদ্ধ ও সারিবদ্ধভাবে বসে পরেন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জুম্মার নামাজ আদায়ে। সড়ক গুলোতে চলাচলরত যানবাহন সাড়ে বারোটা থেকে ২টা পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে চারপাশের সড়ক মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি করে দাড়িয়ে থাকায় এবং হকারদের উপদ্রবে মুসল্লীদের চলাচলে চরম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে টঙ্গীর পথে ইজতেমাগামী মানুষের ঢল নামলে মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আজ শুক্রবার দুপুরের মধ্যে ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
ইজতেমা মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, ধর্মীয় উদ্দীপনায়, ইজতেমার পক্ষ-বিপক্ষ মতাদর্শী মুসল্লিদের অংশগ্রহন ও কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে শুক্রবার বাদ ফজর আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ঈমান, আমল ও আখলাক, দাওয়াত ও তাবলীগ সম্পর্কে তাবলীগী বুর্জুগ, ইসলামী চিন্তাবিদ, আলেম ও পাকিস্থানের পাকিস্থানের মাওলানা আহম্মেদ পাটলা’র আ’ম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলমি সূরা তত্তাবধানে এ পর্ব।
রাজধানী ঢাকার উপকন্ঠ টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলীগ জামাতের বার্ষিক মহাসম্মেলন বিশ্ব ইজতেমার প্রথমদিনে গতকাল অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বের বৃহত্তম জুমার জামাত। জুম্মার নামাজে অংশগ্রহণকারী লাখ লাখ মুসল্লি ছাড়াও রাজধানীসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষ রেলপথ, সড়ক পথ, নৌপথসহ বিভিন্ন যানবাহন এবং অনেকে পায়ে হেঁটে শরীক হন এই বৃহত্তম জুমার নামাজে। বিশ্বের অর্ধশতাধিক দেশের প্রায় দু’শহশ্রাধিক প্রতিনিধিসহ লাখো মুসল্লির অংশগ্রহণে অসীম, অনন্ত ও প্রেমময় আল্লাহ’র সন্তুষ্টি অর্জনে ইবাদত বন্দেগি আর কোরআন হাদিসের আলোচনায় বিশ্ব ইজতেমার বিশাল প্যান্ডেলে এখন পবিত্র ধর্মীয় পরিবেশ বিরাজ করছে।
গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার বলেন, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে পুরো এলাকায় নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ, র্যাব, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর ৬ হাজারের অধিক সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে পুরো এলাকায়। মাঠের বিভিন্ন অংশে বসানো হয়েছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। এছাড়া থাকছে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়েতে তল্লাশির ব্যবস্থা। পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে একাধিক ওয়াচ টাওয়ার, চেকপোস্ট, ইজতেমা ময়দানের চারপাশে হেলিকপ্টার টহলসহ রয়েছে হেলিকপ্টার ওঠা-নামার জন্য দুটি পয়েন্টে হ্যালিপ্যাড।
সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে একাধিক কন্ট্রোল রুম ও সাব কন্ট্রোল রুম।