প্রকাশ: সোমবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৪, ৫:৩৩ অপরাহ্ন
কথায় বলে, মাছে-ভাতে বাঙালি। বাঙালির পাতে ভাতের পাশাপাশি মাছ থাকা চাই। একটি সুপরিচিত মাছ রুই মাছ। কম-বেশি সবার বাড়িতেই এই মাছ রান্না হয়। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে, রুই মাছ খেলে কী হয়? এই মাছের পুষ্টিগুণ কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত-
রুই মাছের পুষ্টিগুণ
স্বাদুজলের কাঁটা মাছ রুই। এটি বেশ কয়েকটি পুষ্টিগুণের সমাহার। রুই মাছে থাকা প্রথম পুষ্টি উপাদান প্রোটিন। এটি সহজে হজম করা যায়। মাংসের তুলনায় যা সহজে হজমযোগ্য। এছাড়া রুই মাছে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২, এ, ডি, ই। এছাড়াও ফসফরাস, সেলেনিয়াম, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থ পাওয়া যায় রুই মাছে। এই মাছে ফ্যাটের পরিমাণ খুব কম। রুই মাছের একাধিক উপকারিতা রয়েছে। চলুন জেনে নিই এই মাছ খেলে কী কী উপকারিতা মেলে-
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে
রুই মাছে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম থাকে। এটি প্রোটিনে ভরপুর মাছ। তাই এই মাছ খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। অন্যদিকে প্রোটিন থাকায় দীর্ঘসময় খিদেও লাগে না। তাই পরোক্ষভাবে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে রুই মাছ।
কগনিটিভ কর্মক্ষমতা বাড়ায়
কথায় বলে, মাছ খেলে বুদ্ধি বাড়ে। এটি কেবল প্রবাদবাক্য নয়। সত্যিই বুদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে রুই মাছ। এই মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সতেজ রাখে। পাশাপাশি কগনিটিভ কর্মক্ষমতা অর্থাৎ কোনো কিছু যুক্তি দিয়ে ভেবে সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারার ক্ষমতা বাড়ায় রুই মাছ।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের জন্যও রুই মাছের পুষ্টি উপাদান বেশ উপকারী। এতে আছে ভিটামিন ই, সেলেনিয়াম ও জিঙ্ক যা ত্বকের কোষের বাঁধুনি নষ্ট হতে দেয় না। কোলাজেন ভেঙে গেলে ত্বকে বার্ধক্য দেখা দেয়। সেটি রোধ করে এই পুষ্টি উপাদান।
স্ট্রেস দূর করে
রুই মাছে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দূর করে। ফলে সহজেই স্ট্রেসমুক্ত থাকা যায়।
হার্ট চাঙ্গা রাখে
রুই মাছে থাকা অন্যতম একটি উপাদান ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল হার্টের বিপদ ডেকে আনে। রুই মাছের ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
জয়েন্টের ব্যথা কমায়
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় হাত-পায়ের জয়েন্টে ব্যথা। শীতের সময় এই ব্যথা আরও বাড়ে। রুই মাছের প্রোটিন জয়েন্টের কোষগুলোকে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ফলে ব্যথার থেকে অনেকটাই রেহাই মেলে।