প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪, ৭:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৪, ৭:২২ অপরাহ্ন
সারাদিন হামজা এবং রুস্তমের চেষ্টায় আরো একটি ট্রাক উদ্ধার করা সম্ভব হলেও সম্ভব হয়নি ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধার। নৌবাহিনীর ডুবুরি টিমের ২টি দল সারাদিন কাজ করলেও খোঁজ মিলেনি ফেরির সহকারী ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবিরের।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটি ট্রাকসহ সর্বমোট তিনটি যান উদ্ধার করা হয়েছে।
পাটুরিয়ার ফেরিঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা উদ্ধারে বুধবার দুপুর থেকে কাজ করছে বিআইডব্রিউটিএ উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা। যে ফেরিটি ডুবে গেছে সেটি উদ্ধারে সক্ষমতা নেই হামজা ও রুস্তমের। কারণ ডুবন্ত ফেরিটির ওজন ২৫০ টনের বেশি।
অপরদিকে উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তমের সক্ষমতা প্রতিটির ৬০ টন করে। তবে, নারায়নগঞ্জ থেকে রওনা হওয়া প্রত্যয়ের সক্ষমতা ২৫০ টন। সেক্ষেত্রে তিন জাহাজ একত্রে চেষ্টা করলে ডুবে যাওয়া ফেরিটি উদ্ধার করা সম্ভব।
বিআইডব্লিউটিএ এর নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক মো. শাহ জাহান জানান, ডুবন্ত রজনীগন্ধা ফেরিটির যে পরিমাণ ওজন তা উদ্ধার করা উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা ও রুস্তমের সক্ষমতায় নেই। তবে তারা ঘটনাস্থলে ডুবে যাওয়া ট্রাক উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে। আর প্রত্যয় বরিশাল থেকে গতকাল রওনা হয়েছে। রাতে ঘটনাস্থলে এসে পৌছাবে। তখন তিনটি জাহাজ মিলে ডুবে যাওয়া ফেরিটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করা হবে।
এ দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার জানিয়েছেন, এই ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিনকে প্রধান করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান বলেন, এই দুর্ঘটনার অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করা হয়েছে।