দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোরের চারটি সংসদীয় আসনে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যার মধ্যে বিভিন্ন দলের ২৪ জন প্রার্থী তাদের জামানত হারালেন।
গত রোববার (৭ জানুয়ারি) নির্বাচনে মোট ভোটের ২৫ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় এসব প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞার দেয়া নির্বাচনী ফলাফল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে ৭ জন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৩৬৯ জন। এরমধ্যে ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৭০ হাজার ২৪৯টি। বাতিল ভোট ৫ হাজার ৪০৭টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪২টি। সে অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ভোট হবে ৪২ হাজার ৫৬২টি।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নাটোর জেলা শাখার সভাপতি, উত্তরবঙ্গ আখচাষী সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ ইব্রাহীম খলিল (হাতুড়ি) পেয়েছেন ৩ হাজার ৪৩০ ভোট, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মো. রমজান আলী সরকার (কাঁচি) পেয়েছেন ২ হাজার ৬১৪ ভোট, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার মো. আশিক হোসেন (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬ ভোট; আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কাজল রায় (ঢেঁকি) পেয়েছেন ১ হাজার ১৩৬ ভোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের (ইনু) ইঞ্জিনিয়ার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (মশাল) পেয়েছেন ৮১৭ ভোট, জাসদ স্বতন্ত্র মো. জামাল উদ্দিন ফারুক (ট্রাক) পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো. লিয়াকত আলী (একতারা) পেয়েছেন ৪৫১ ভোট।
নাটোর-২ (নাটোর সদর-নলডাঙ্গা) আসনে ৩ জন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৪৯ জন। এরমধ্যে ভোট ১ লাখ ৮৭ হাজার ৪১টি, বাতিল ভোট ৫ হাজার ৩২১টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৮১ হাজার ৭২০টি। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৪৮ দশমিক ৭০ ভাগ। সে অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ভোট হবে ৪৬ হাজার ৭৬০টি।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- নাটোর জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি মো. নুরন্নবী মৃধা (লাঙ্গল) পেয়েছে ২ হাজার ৭১৫ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির মোহাম্মদ বজলুর রশিদ (ডাব) পেয়েছেন ৮৩৯ ভোট এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মো. শরিফুল ইসলাম (মশাল) পেয়েছেন ৫৮০ ভোট।
নাটোর-৩ (সিংড়া) আসনে ৭ জন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮ হাজার ৭৯৪ জন। এরমধ্যে প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭০৫টি, বাতিল ভোট ৩ হাজার ৯৫টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৮১ হাজার ৬১০টি। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৫৯ দশমিক ৮১ ভাগ। সে অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ভোট হবে ৪৬ হাজার ১৭৬টি।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. আনিছুর রহমান (লাঙ্গল) পেয়েছেন ৭৭৯ ভোট, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মো. আনোয়ার হোসেন (কুলা) পেয়েছেন ২৩০ ভোট, তৃণমূল বিএনপির মো. আবুল কালাম আজাদ (সোনালী আঁশ) পেয়েছেন ২১৯ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন (ট্রাক) পেয়েছেন ১২৪ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আমিরুল ইসলাম (ডাব) পেয়েছেন ২০৮ ভোট, তরিকত ফেডারেশনের (বিটিএফ) মো. আলতাফ হোসেন (ফুলের মালা) পেয়েছেন ৬৫ ভোট এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির মো. মিজানুর রহমান মিজান (হাতুরি) পেয়েছেন ৬৩৮ ভোট।
নাটোর-৪ (বড়াইগ্রাম-গুরুদাসপুর) আসনে ৭ জন। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২০ হাজার ৪৭০ জন। এরমধ্যে প্রদত্ত ভোট ২ লাখ ১৩ হাজার ২৭৩টি, বাতিল ভোট ৩ হাজার ৯১৩টি। মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৩৬০টি। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৫০ দশমিক ৭২ ভাগ। সে অনুযায়ী ২৫ শতাংশ ভোট হবে ৫৩ হাজার ৩১৮টি।
জামানত বাজেয়াপ্ত প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মো. আলাউদ্দিন মৃধা (লাঙ্গল) পেয়েছেন ২৮৬ ভোট; তৃণমূল বিএনপির মো. আব্দুল খালেক সরকার (সোনালী আঁশ) পেয়েছেন ৭২ ভোট, জাতীয় পার্টির-জেপি এস এম সেলিম রেজা (বাইসাইকেল) পেয়েছেন ২৫৩ ভোট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) গাজী আবু সায়েম রতন (নোঙ্গর) পেয়েছেন ১৪০ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের শান্তি রিবারু (ডাব) পেয়েছেন ২৭৩ ভোট, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম (ঈগল) পেয়েছেন ১ হাজার ২৯১ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজন আহমেদ (দোলনা) পেয়েছেন ২ হাজার ৭১৫ ভোট।
উল্লেখিত, গত রোববার(৭ জানুয়ারি) নাটোরে চারটি আসনের ৫৬৬ টি কেন্দ্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।