প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৪, ৮:০৯ অপরাহ্ন
পিরোজপুরের নাজিরপুরে মো. লাইজু শেখ (৩৬) নামের এক নৌকার সমর্থককে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছেন প্রতিপক্ষের পরাজিত স্বতন্ত্র (ঈগল প্রতীক) প্রার্থীর লোকজন। এ সময় তার সাথে আল নোমান রনি (২০) নামের এক তরুনকেও হত্যার উদ্দেশ্যে আটকে রাখে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের ষোলশত গ্রামে।
এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন।
জানা গেছে, নৌকার প্রার্থী ছিলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) জেলা আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি একেএমএ আউয়াল।
প্রত্যক্ষদর্শী আল নোমান রনি জানান, ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি খেজুরতলা তার নানা গাউস খান ও লাইজু শেখ তার শ্বশুরবাড়ি রঘুনাথপুর থেকে দু’জনে খেজুরতলা থেকে এক সাথে ফিরছিলেন। এ সময় স্থানীয় জোড়া কালভার্ট সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. জব্বার খানের বাড়ি সংলগ্ন স্থানে পৌছলে পূর্ব থেকে সেখানে ওৎ পেতে থাকা পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল প্রতীক) ২০/২৫ জন লোক তাদের আটকে লাইজুকে কুপিযে গুরুতর আহত করে। এসময় ওই লাইজুর সাতে থাকা রনিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা জব্বার খানের বড়ির একটি ঘরের আটকে রাখে।
স্থানীয়রা লাইজুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ সময় কোপানোর ঘটনাটি ধামা চাপা দিকে ওই বাড়ির একটি পরিত্যাক্ত ভাঙ্গাচুরা ঘরে অগ্নি সংযোগ করে।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার অসিত কুমার মিস্ত্রী বলেন, হামলায় আহত লাইজুকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা প্রেরন করা হয়েছে।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, খবর শুনে সেখানে থানা পুলিশ সহ নির্বাচনী কাজে দায়িত্ব থাকারা গিয়েছিলাম। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। একটি পরিত্যাক্ত ঘরে কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।