প্রকাশ: সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪, ১১:৩৬ অপরাহ্ন
রুশ বাহিনীকে মোকাবিলার জন্যে ইউক্রেনের নেই পর্যাপ্ত সেনা ও অস্ত্র। এ নিয়ে অস্বস্তিতে স্বয়ং দেশটির সেনাপ্রধানসহ শীর্ষস্থানীয় কমান্ডাররা। আর এই অস্ত্র ও সেনা ঘাটতি কবে পূরণ হবে, তাও অনিশ্চিত। নিজেদের ভূখণ্ড পুনর্দখল তো দূরের কথা, উল্টো যুদ্ধের ময়দানে মুখ থুবড়ে পড়ছে ইউক্রেনের সেনারা।
যুদ্ধের জন্য পশ্চিমাদের অব্যাহত সমর্থনেও ধরেছে চিড়। কেন শত শত কোটি ডলার ইউক্রেনকে দেয়া হবে সেই প্রশ্নও উঠেছে পশ্চিমা দেশগুলোতে। শুধু তাই নয়, এ যুদ্ধে ইউক্রেনের লক্ষ্য কি সে বিষয়টিও জানতে চাইছেন বহু বিশ্বনেতা। আর এই কারণেই ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়ায় লাগাম টেনে ধরেছেন তারা। পাশাপাশি সম্মুখযুদ্ধে রুশ বাহিনীর সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না এমন কথাও বলছেন ইউক্রেনীয় কমান্ডাররাই।
বছরের শুরুতে পুতিনকে কিছুটা উদ্বিগ্ন মনে হলেও এখন তিনি আত্মবিশ্বাসী। বছর শেষের সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেছেন, যে লক্ষ্যে রাশিয়া এ যুদ্ধে জড়িয়েছে, তাতে অবিচল তার দেশ। লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত শান্তি নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন এবং তাদের মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে অপেক্ষার খেলা খেলছেন পুতিন। তিনি ভালো করেই জানেন, সময় যত গড়াবে, পশ্চিমা সাহায্য তত কমবে। আর এরই ফায়দা তুলবে পরাশক্তি রাশিয়া। পুতিনের এই ধারণা স্পষ্ট, একা ইউক্রেন কখনোই রুশ বাহিনীর সঙ্গে পেরে উঠবে না।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলের নারকীয় হামলা পুতিনের জন্য শাপে বর হয়ে এসেছে। বিশ্বসম্প্রদায়ের নজর ইউক্রেন থেকে সরে পড়েছে গাজায়। আর এ সুযোগের সদ্ব্যবহারের চেষ্টাও চালাচ্ছেন পুতিন। গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে দেশে বিদেশে সমালোচিত যুক্তরাষ্ট্র। আবার ইউক্রেনের পক্ষেও কথা বলছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের এই দ্বিমুখী আচরণকে ‘তুরুপের তাস’ করে পশ্চিমা বিশ্বকে প্রশ্নে জর্জরিত করছেন পুতিন। বলছেন, পশ্চিমারা তো ভণ্ড!
আগামী বছর রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনে আবারও লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন পুতিন। তিনিই যে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন, সেই সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তোলার মতো লোক আপাতত পাওয়া যাচ্ছে না। ক্ষমতা পোক্ত করার বন্দোবস্ত আগেই করে রেখেছেন পুতিন। পুতিনের নির্দেশে বছরের শেষ ক’দিন কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে বড় পরিসরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করেছে রুশ বাহিনী। শব্দের চেয়েও দ্রুতগতিতে ছুটতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ক্রেমলিন।
দারুণ চাঙা অবস্থায় থাকা পুতিন নতুন বছরে ইউক্রেনে হামলা আরও জোরদার করবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এরইমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশরা। পুতিনের আপাত লক্ষ্য, দখলে থাকা এসব অঞ্চলে রাশিয়ার অবস্থান আরও পোক্ত করা।