প্রকাশ: সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪, ৬:২৯ অপরাহ্ন
নতুন বছরের প্রথম দিনে দক্ষিণ এশিয়ার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনার তালিকা বিনিময় করেছে। যেকোনো ধরনের সংঘাত ও সংঘর্ষের ঘটনার মধ্যেও এসব স্থাপনায় আক্রমণ করা যাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দেয় পারমাণবিক শক্তিধর এই দুই দেশ। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সর্বকালের মধ্যে সবচেয়ে তলানিতে থাকা সত্ত্বেও ১৯৯২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিবছরের প্রথম দিনে এমন রীতি মেনে আসছে দু'দেশ। খবর: হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (১ জানুয়ারি) বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ‘ ১৯৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সই হওয়া সেই পুরোনো চুক্তির আওতায় ইসলামাবাদে ভারতীয় মিশনের কাছে পারমাণবিক স্থাপনার একটি তালিকা হস্তান্তর করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানি মিশনের কাছেও এ ধরনের তালিকা দিয়েছে ভারত। তবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে তালিকাভুক্ত স্থাপনাগুলোর নাম গণমাধ্যমকে জানায় না দুই দেশ।
চুক্তি অনুযায়ী এই অতিগুরুত্বপূর্ণ এই তালিকাটি প্রতি বছর ১ জানুয়ারি আদান-প্রদান করা হয়। চুক্তি সইয়ের চার বছর পর ১৯৯২ সাল থেকে এটি কার্যকর হয়। দেশ বিভাগের পর পারমাণবিক শক্তিধর এই দু'দেশ তিনবার সরাসরি যুদ্ধ জড়িয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশ দুটির মধ্যে কয়েকটি সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছে। ২০২২ সালে ভারতীয় একটি ক্ষেপণাস্ত্র ‘ভুলবশত’ পাকিস্তানের মাটিতে আঘাত হানে; এতে দক্ষিণ এশিয়ার সহিংসতার ঘণ্টা বেজে উঠে। বার্ষিক এই তথ্য আদান-প্রদান এমন সময়ে হয়েছে, যখন দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই বললেই চলে।
১৯৭৪ সালের ১৮ মে প্রথমবারের মতো পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায় ভারত। পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালায়। এরপর থেকে ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ বাড়িয়ে চলেছে ইসলামাবাদ। চীনের সহায়তায় পাকিস্তান সম্প্রতি বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার বাড়িয়েছে।