আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে পাবনা পৌর শহরের দই বাজার মোড়ে ছাত্রদলের প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় মিছিল থেকে ৭ জন নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
আহতরা হলেন, পাবনা জেলা ছাত্রলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইট, পাবনা সদর পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান হোসেন হৃদয়, সেতু ফকির, হাবিবুল হাসান রনি। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি।
আটককৃতদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাফি, পৌর ছাত্রদল সদস্য শিমুল হোসেন, মালঞ্চি ইউনিয়ন ছাত্রদল সদস্য মাহিন হোসেন, গয়েশপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল সদস্য নাসিম হোসেনের নাম জানা গেছে। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ, নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেশজুড়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার, হামলা, গুম, খুন শারীরিক নির্যাতনের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনদের গ্রেফতার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে দুপুর ১২টার দিকে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়।
জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুন্নবী স্বপন ও জেলা ছাত্রলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইটের নেতৃত্বে মিছিলটি শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে বের করে আব্দুল হামিদ সড়ক হয়ে ইন্দিরা মোড় দিয়ে দই বাজার মোড়ে পৌঁছায়।
সেখানে পৌঁছামাত্রই লাঠিচার্জ করে পুলিশ। নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এতে অন্তত ৫ জন আহত হন। পরে পুলিশ সেখান থেকে ৭ জন নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা ছাত্রলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান খান সুইট বলেন, ছাত্রদলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করি। আমাদের মিছিলটি ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ। কিন্তু পুলিশ পেছন থেকে আমাদের মিছিলে হামলা চালায়। এতে আমিসহ আমাদের কেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মিছিল করার জন্য আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি তারা। মিছিল বের করলে দই বাজার মোড়ে বাধা দেয়া হয়। এ সময় তাদের ধাওয়া দিলে দৌঁড়ে পালাতে গিয়ে কয়েকজন পড়ে যান। সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।'
ওসি আরো বলেন, 'আটককৃতরা পূর্বের কোনো মামলায় আসামী কি না সে বিষয়ে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তাদের নাম ছবি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি তাদের সম্পূক্ততা পাওয়া যায় তাহলে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।