প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ৫:৪৫ অপরাহ্ন
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে ছোট ভাই আরিফ বিল্লাহ (৩৬)কে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার(১৪ নভেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মোঃ আতিকুর রহমান আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আরিফ বিল্লাহর জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের হাসানপাড়া গ্রামের আব্দুল ছাত্তার মন্ডলের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর (পিপি) আইনজীবি নিরঞ্জন কুমার ঘোষ। তিনি মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২০২১ সালে ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভাত খাওয়াকে কেন্দ্র করে আসামি আরিফ বিল্লাহ সঙ্গে তার মা হামিদা বেগমের সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আরিফ বিল্লাহ ক্ষিপ্ত হয়ে মায়ের রাইচ কুকারের ঢাকনা ভেঙ্গে ফেলেন। পরে আরিফ বিল্লাহর এমন আচারনে হামিদা বেগম তার বড় ছেলে শহিদুল কে বিষয়টি অবগত করে। এরপর শহিদুল ইসলাম রাতেই আরিফ বিল্লাহ কাছে রাইচ কুকারের ঢাকনা ভেঙ্গে ফেলার কারণ জানতে চায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আরিফ বিল্লাহ উত্তেজিত হয়ে বড় ভাই শহিদুল ইসলামের ক্ষিপ্ত হয়ে বড় ভাইকে মারপিট করে আহত করে। পরে আশপাশের লোকজন শহিদুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পাশ্ববর্তী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চারদিন চিকিৎসার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২১সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে রংপুর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিবার লাশের সুরতহাল শেষে বাড়িতে নিয়ে আসে।
পরে ২০ সেপ্টেম্বর নিহত শহিদুল ইসলামের স্ত্রী তাসফুয়া আকতার বাদি হয়ে আরিফ বিল্লাহকে আসামি করে সাদুল্লাপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত বৃহস্পতিবার আসামী আরিফ বিল্লাহকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। এ রায়ে ন্যায়বিচার পেয়েছেন বলে নিহতের স্ত্রী জানান।
এদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবি আবু আলা সিদ্দিকুল ইসলাম এই রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, বিচার সঠিক হয়নি। এ
রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। আদালত উচ্চ আদালতে আপিলের জন্য ৭ দিনের সুযোগ দিয়েছে।