প্রকাশ: সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫, ৩:০৬ অপরাহ্ন

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে প্রেগনেন্সি জটিলতায় আজ সকাল আটটায় জরুরী বিভাগে আসেন এক তরুণী (১৭)। তার সাথে আসেন বাবা-মা। অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি থাকতে বলেন পাশাপাশি একাধিক টেস্ট দেন। সকাল সাড়ে নয়টায় গাইনি বিভাগের ৫০২ নাম্বার রুমে এডমিট হন তিনি।
বিকেলে হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন কর্মীরা টয়লেট পুরষ্কারে আসলে টয়লেটের পাইপে এক নবজাতকে দেহের অংশবিশেষ আটকে থাকতে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। মুহূর্তেই এ ঘটনায় হাসপাতালে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়ে যায়। ওয়ার্ডে থাকা ছয়টি বেডের রোগী এবং স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের প্রেক্ষিতে আজ সকালে ভর্তি হওয়া ১৭ বছর বয়সী সেই তরুণী নিজের পেটের বাচ্চা নিজ ইচ্ছায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে নবজাতককে টয়লেটে ফেলে দেয় বলে স্বীকার করেন। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি মেয়ের বাচ্চা হবার বিষয় তারা কিছুই জানতেন না।
পুলিশ কারণ জানতে চাইলে ভুক্তভোগীর স্বজনেরা নবজাতকের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান। এর ফলে ভুক্তভোগী তরুণীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি দায় স্বীকার করলেও কেন এমনটি করেছেন এ বিষয়ে কোন কিছুই বলছেন না পুলিশের কাছে।
পুলিশি সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী অবিবাহিত। তিনি জেলার একটি কলেজে অধ্যায়নরত আছেন।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এবিএম তৌহিদুজ্জামান বলেন, আজ সকালে ভুক্তভোগী তরুণী তার স্বজনদের সাথে এসে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। তার এমন ঘটনায় আমরা বিচলিত। পুলিশ এ বিষয়ে কাজ করছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর শিবাস্তিন। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি এখনই কিছুই বলা যাচ্ছে না।