প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭:২৬ অপরাহ্ন
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ফরহাদ হোসেনের নামে অপর ইউপি সদস্য মনোয়ার হোসেনকে নারী কেলেঙ্কারিতে ফাঁসানোর অভিযোগে দেবীগঞ্জ থানায় ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৯/১০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে মনোয়ার বিএনপি'র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে বিভিন্ন সময়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। যার জেরে ফরহাদ হোসেন এই পুরো ঘটনায় ইন্ধন যোগান।
গত শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে হাজিপাড়া এলাকার রাব্বিনা আক্তার শ্বশুর বাড়ি থেকে মনোয়ারের ফোন পেয়ে মনোয়ার দেখা করতে যান। এই সময় রাব্বিনা হঠাৎ করে মনোয়ারের হাত ধরে তার শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়। একই সময়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে ফরহাদ হোসেনসহ ওঁৎ পেতে থাকা অন্যান্য অভিযুক্তরা এসে ঘরের দরজা খুলে কিছু বুঝে উঠার আগেই পরকীয়ার অভিযোগ তুলে সবাই মিলে মনোয়ারকে বেধড়ক মারধর করার পর পা বেঁধে বিছানায় শোয়ায় দেয়। পরে সকালে তাকে ঘর থেকে বের করে গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। এই ঘটনা রফাদফা করার প্রস্তাব দিয়ে মনোয়ারের নিকট মোটা অঙ্কের টাকাও দাবি করেন ফরহাদ হোসেন, এমনটাই অভিযোগ মনোয়ার হোসেনের।
বর্তমানে মনোয়ার হোসেন চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে মনোয়ার হোসেনের শরীরের বিভিন্ন অংশে মারধরের ফলে কালশিটের দাগ দেখা যায়।
এ বিষয়ে প্রেমিকা রাব্বিনা বলেন, গত দুই বছর থেকে তার সাথে মনোয়ারের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিনও সে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল।
তবে ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।