প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৬:০৮ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে হামিদুল ইসলাম আলে (২৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে বেঁধে রেখে শারীরিক নির্যাতনে হত্যার পর বাড়ি ডাকাতি করেছে একদল ডাকাত। এ ঘটনটি ঘটেছে মঙ্গলবার গভীর রাতে ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামে।
ফুলবাড়ী থানা পুলিশ খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের হয়েছে।
নিহতের বাড়িটি ক্রাইম সিনের আওতায় এনে সিআইডির মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে ফুলবাড়ী উপজেলায় ৫ দিনের ব্যবধানে ধরলা নদীর উপর ফুলবাড়ী সেতুতে রাতের আঁধারে ছগলায় ছুরিকাঘাতে ওষুধ কোম্পনীর কর্মচারী আসাদুল ইসলামের ৯০ হাজার টাকা ছিনতাই ও মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম আলেকে হত্যা করে তা বাড়ি ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক দেয়া দিয়েছে।
জানা গেছে, ফুলবাড়ী উপজেলার ভাঙ্গামোড় ইউনিয়নের নগরাজপুর গ্রামের শফি ব্যাপারীর ছেলে সুপারি ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম আলের মনগরাজপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন তার নিজ বাড়িতে সোমবার রাত ৮ টার পর ডাকাতরা কৌশলে তাদের বাড়ির ব্যবহৃত পানিতে চেতনা নাশক মিশিয়ে দেয়। এতে হামিদুল ইসলাম আলের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ওই পানি ব্যবহার করে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে পড়লে ডাকাত দল ব্যবসায়ী আমিদুল ইসলাম আলের শয়ন কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে গভীর ২ টার দিকে শয়ন ঘরে ঢুকে পড়ে। ডাকাতের উপস্থিতি পেয়ে ব্যবসায়ী হামিদুল চিৎকার করার চেষ্টা করে। কিন্তু পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অচেতন থাকায় কেউ তার চিৎিকার শুনতে পায়নি। এরপর ডাকাতরা হামিদুলকে ও তার মুখ বেঁধে শারীরক নির্যাতন চালায়। এ নির্যাতনে হামিদুল নিথর হয়ে পড়লে ডাকাতরা তার ঘরের বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত স্বর্ন ও টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী বেঁধে রাখা অবস্থায় হামিদুলকে দেখতে পেয়ে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফুলবাড়ী থানায় নিয়ে আসে। পরে আজ মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) সকালে ময়না তদন্তের জন্য ব্যবসায়ী হামিদুলের লাশ কুড়িগ্রাম মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফুলবাড়ী থানার নবাগত ওসি ছানোয়ার হোসেন জানান, নিহত ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম আলেকে ডাকাতরা খুন করে তার বাড়ি ডাকাতি করেছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রামে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হলেও আরেকটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ওসি আরও জানান, আমরা ঘটনাস্থলটি ক্রাইম সিনের আওতায় নিয়ে এ ঘটনা সিআইডির মাধ্যমে তদন্ত করে ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা
করছি। এ ঘটনাটি আশপাশের অপরাধিদের দ্বারা সংঘটিত হতে পারে বলেও ধারনা করেন ওসি।