ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে মেহেরপুরে এক দিনের ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের প্রায় শতাধিক বসতঘর। তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক, ফসলের মাঠ। অনেকের বাড়ির ভেতরে পানি থই থই করছে। পানি বন্দী হয়ে পড়েছেন মানুষ, গবাদি পশু।
এলাকাবাসীর অভিযোগ- একই এলাকার মনিরুল, জাহাঙ্গীর ও সালাম নামের তিন ব্যক্তি পানি নিঃস্কাশণের কালভার্ট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে পানি বন্দী হয়ে পড়েছে ধলার দক্ষিণ ও মোল্লা পাড়ার প্রায় তিন শতাধিক মানুষ।
আজ রবিবার সরেজমিন রাধাগোবিন্দপুর ধলার দক্ষিণ ও মোল্লাপাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভারি বর্ষণের কারণে এলাকার বসত বাড়ি, রাস্তা,ছোটখাটো ডোবা, সড়ক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে পানি থৈ থৈ করছে। একই সঙ্গে আশপাশের বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ ডুবে আছে বৃষ্টির পানিতে। অধিকাংশ বাড়িতেই হাঁটুপানি জমে আছে। আবার অনেক গোয়াল ঘর, রান্না ও ঘরেও ঢুকে পড়েছে।
মোল্লাপাড়ার বাসিন্দা জয়নাল বলেন বলেন, তাঁর বাড়ির চারপাশে ও ঘরের মধ্যে পানি উঠে গেছে। রান্নাঘরে ঢুকেছে পানি। চলাচলের রাস্তাও ডুবে গেছে। বাড়ির গবাদিপশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। আজ চারদিন যাবৎ একবেলা খেয়ে বেঁচে থাকার অবস্থা। এছাড়াও এলাকায় ধানসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। পানি নিঃষ্কাশনের ব্যবস্থা হলেও ফসলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দা সিরাজ বলেন, ঘরের বারান্দা পর্যন্ত প্রায় পানি উঠে গেছে। রান্নার চুলা এখন পানির নিচে ডুবে থাকায় রান্না করতে পারছে না। গত তিন দিন যাবত পানিবন্দি। বাড়ির টিউবওয়েলও তলিয়ে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
জাহানারা খাতুন বলেন, আজ চারদিন ধরে আমরা পানিবন্দী হয়ে আছি। টিউবয়েল ও রান্নাঘর ডুবে গেছে। বাড়িতে ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে খুব বিপদে আছি। আমাদের দাবি দ্রুত এই পানি নিঃস্কাশনের ব্যবস্থা করার দারি জানাচ্ছি।
এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের জানান, নিজেরা দুই বেলা খেতে পারলেও গরু-ছাগল নিয়ে মহাবিপদে আছি। মাঠ-ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় গবাদিপশুর খাবার নিয়ে বিপদে আছি। সেই সাথে সাপের ভয়েও ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাময়িকভাবে পানি নিঃষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভাবিষ্যতে এটার একটি স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।