প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৯:২৬ অপরাহ্ন
বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রেখে ব্ল্যাক আউট কর্মসুচী পালন করায় মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে যৌথ বাহিনী। পরে সাড়ে তিন ঘন্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে জেলায় বিদ্যুৎ চালু করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে সদর উপজেলার মূলজান পল্লীবিদ্যুৎ অফিস প্রাঙ্গনে ব্ল্যাক আউট কর্মসুচী পালন করে। পরে যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপে বেলা আড়াইটার দিকে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া পল্লীবিদ্যুতের চার কর্মকর্তারা হলেন- মানিকগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের এজিএম (প্রশাসন) রাজিবুল হাসান, এজিএম (ইএমসি) মোঃ হাসিব উদ্দিন, এজিএম গিয়াস উদ্দিন খান শাকিল ও হরিরামপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম সামিউল কবির। তাদের নেতৃত্বেই পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিদ্যুৎ বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করে।
জানা গেছে, দুর্নীতির অভিযোগে সারাদেশে পল্লীবিদ্যুতের ২০ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণের প্রতিবাদে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের স্ব-পদে বহালের দাবীতে বিদ্যুত বন্ধ রেখে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে বার বার অনুরোধ করা হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল না করায় দুপুর দেড়টার দিকে যৌথ বাহিনী এবং সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে অবস্থান নেয়। এসময় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে কর্মসূচি পালনের নেতৃত্ব দেওয়া পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেনাবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সাড়ে তিনঘন্টা পর দুপুর আড়াইটার দিকে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পরে মানিকগঞ্জবাসী।
বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হেফাজতে নেয়ার সময় মেজর মিনহাজ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ওয়ারেস আলী ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমান উল্লাহসহ যৌথ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সুলতান নাছিমুল হকের সরকারী মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।