জার্মানির অনূধ্ব-২১ দলে ১১ ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ১ গোল। অথচ জাতীয় দলে অভিষেক ম্যাচেই গোল পেয়ে গেলেন জেমি লেওয়েলিং। বুন্দেসলিগার ক্লাব স্টুটগার্টের ২৩ বছর বয়সী তারকার গোলেই সোমবার রাতের ম্যাচে ব্যবধান তৈরি করে জার্মানি। স্বপ্ন পূরণ লেওয়েলিংয়েরও। নেদাল্যান্ডসকে ১-০ গোলে হারিয়ে উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় জার্মানরা।
সোমবার ঘরের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় চার কিংবদন্তিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানায় জার্মানি। তারা হলেন- ইলকায় গুন্দোয়ান, টমাস মুলার, ম্যানুয়েল নুয়্যার ও টনি ক্রুস। প্রিয় তারকাদের বিদায় জানাতে এদিন অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ছিল শত শত দর্শকের উপস্থিতি।
সবারই জানা, আগেই জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন এই চার জার্মান কিংবদন্তি। কাল ছিল আনুষ্ঠানিক বিদায়ের অনুষ্ঠান।
এ রাতে জাতীয় সংগীত শুরুর আগেই মাঠে আসেন গুন্দোয়ান, নুয়্যার ও মুলার। তাদের সঙ্গে ছিলেন না জার্মান ফুটবলকে বিদায় জানানো আরেক ফুটবলার টনি ক্রুস। এ সময় মাঠে দাঁড়িয়ে দর্শকদের ছুঁড়ে দেওয়া ভালোবাসা কুড়িয়ে নেন গুন্দোয়ান, মুলার ও নুয়্যার। এরপর তিন ফুটবলারের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ স্মারক।
সোমবার জার্মানির জার্সিতে অভিষেক হয় দুই জনের। লেওয়েলিংয়ের সঙ্গে প্রথমবার জার্মানির জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন গোলরক্ষক অলিভার বোম্যান। এই ম্যাচে স্বাগতিকদের গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৬৪ মিনিট পর্যন্ত। কর্নার ক্লিয়ার করতে গিয়ে নেদারল্যান্ডসের ব্যর্থতার সুযোগে দুর্দান্ত গোল করেন লেওয়েলিং।
লেওয়েলিং অবশ্য জাল খুঁজে পেয়েছিলেন ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি।
লিগ-এ গ্রুপ ৩ এ চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে জার্মানি। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। একই পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে তিনে আছে হাঙ্গেরি। ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে আছে বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা।
ম্যাচ শেষে জার্মান কোচ হুলিয়ান নাগলসম্যান বলেন, ‘প্রথমার্ধ অসাধারণ ছিল। তবে জয়টা আমাদের পুরোপুরি প্রাপ্য। আমরা এখন বাকি ম্যাচগুলো জিততে চাই। ফলাফলের ক্ষেত্রে আমরা ধারাবাহিকতা রাখতে চাই।’
জার্মানি একটি গোল করেছিল ঠিকই, তবে সুযোগ তৈরি করেছিল কয়েকবার। ব্যবধান বড় করার সুযোগ পেয়েও সফলতার মুখ দেখেননি টিম ক্লেইনডিয়েনস্ট ও ম্যাক্সিমিলান মিটলসস্টাডট। অন্যদিকে জার্মানির মাঠে নেদারল্যান্ডস ছিল ছন্দহীন।
নেদারল্যান্ডসের কোচ রোনাল্ড কোম্যান বলেন, ‘আমি আমাদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নই। তবে জার্মানরা আরও ভালো, দ্রুত এবং শারীরিকভাবে শক্তিশালী ছিল। তারা আরও সুযোগ তৈরি করেছিল। মাঝমাঠে আমরা অনেক বল হারিয়েছি। আমরা অনেক পিছিয়ে গিয়েছিলাম, এটা পরিকল্পনায় ছিল না। পরিকল্পনা ছিল ডান দিকে এগিয়ে চাপ সৃষ্টি করার। কিন্তু তা হয়নি।’