প্রকাশ: সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪, ২:৪০ অপরাহ্ন
লক্ষ্মীপুরে গ্যাস স্টেশন থেকে একটি বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত এবং অন্তত ২০ জন দগ্ধ হয়েছে। ইতোমধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) দিনগত রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরশহরের মুক্তিগঞ্জ এলাকায় গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসার বটুমিয়ার ছেলে সুমন হোসেন, বাঞ্ছানগর এলাকার সুজামিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া ও হৃদয় হোসেন। তারা সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন বলে জানা গেছে।
এছাড়া বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন সুমন হোসেন, মো. রকি, মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেন, সিরাজ মিয়া, মো. হৃদয়, শান্ত খান ও আবদুল মালেকসহ ২০ জন। এদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লক্ষ্মীপুর থেকে রামগতিগামী মেঘনা পরিবহণ নামে একটি বাস গ্যাস নিতে গ্রিন লাইফ ফিলিং স্টেশনে আসে। বাসটিতে গ্যাস দেওয়ার সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে গ্যাস স্টেশনে থাকা সিএনজি অটোরিকশার চালকরা ছোটাছুটি শুরু করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান সিএনজি অটোরিকশার তিন চালক। আহত হয় অন্তত আরও ২০ জন।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। এতে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডারটি বিস্ফোরিত হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। তাদেরকে আমরা চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ পাইনি। আহত হয়েছেন ২০ জনের মতো। এরমধ্যে ১০ জনেরই কারো হাত, কারো পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এ ছাড়া তাদের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। অধিকাংশ রোগীকেই ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।’