বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

ভারতের ভিত্তিহীন বিবৃতিতে ঘটনার ভুল উপস্থাপন হয়েছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তার নিয়ে বিকৃত তথ্য ছড়াচ্ছে ভারত: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়    অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার, বিচার নিশ্চিতের দাবি হাসনাত ও সারজিসের    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যা প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ    একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম আরও কমলো    ২০১ রানের বড় হার বাংলাদেশের    চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে   
কাপাসিয়ায় বেড়িবাঁধে ভাঙ্গন
কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪, ৬:০৩ অপরাহ্ন

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় শীতলক্ষ্যা নদী ভাঙনে একটি গ্রামীণ সড়কের প্রায় ১০০ মিটার সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। গত কয়েকদিনের টানা প্রবল বৃষ্টিতে  ও নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় সড়কটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

নদীর ভাঙনে যান চলাচল প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে এতে রানীগঞ্জ, তারাগঞ্জ, নাশেরা গোসাইরগাঁও, ঘিঘাট, একডালা, ডেমরা, ফেটালিয়া, বাড়িগাঁওসহ ৯টি গ্রামের মানুষ, অসুস্থ রোগী ও বৃদ্ধ লোকজন চরম সংকটে পড়েছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীন এই গ্রামীণ সড়কের নাম রানীগঞ্জ - তারাগঞ্জ বেড়িবাঁধ। সড়কটি দিয়ে কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জ উপজেলার প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে।

উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুচি বাড়ি এলাকার পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যা নদী। নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত এই গ্রামীণ সড়কটি। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির ১০০ মিটারে বেশির ভাগ অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ২০ ফুট প্রস্থের সড়কটির মাত্র কয়েক ফুট অবশিষ্ট রয়েছে। নদীর পানির স্রোত বাড়লে সেটিও যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মুচিবাড়ি  এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীতে স্থায়ী প্রতিরক্ষা বাঁধ নেই। পাকা পিচের এই গ্রামীণ সড়কটি বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সড়কের যে স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে, এর অবশিষ্ট অংশ বিলীন হলে নদীর  আশপাশে অবস্থিত   এলাকার প্রায় ৩০০ বসতঘরও বিলীন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য খন্দকার আলী নেওয়াজ  মঞ্জু বলেন, এলাকার ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী চলাচল করে সড়কটি দিয়ে। ভাঙনের কারণে যান চলাচল বন্ধ প্রায় এসব শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এক কিলোমিটারের পথ যেতে হচ্ছে চার কিলোমিটার ঘুরে। যাতায়াত খরচও তিন গুণ বেড়েছে।

উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার আজিজুর রহমান পেরা বলেন, শীতলক্ষ্যা নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি বর্তমানে ভাঙনটি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা রয়েছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোয় বিষয়টি জানানো হয়েছে।

কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি শীতলক্ষ্যা নদীর ওই ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। উপজেলা প্রকৌশলীকে (এলজিইডি) দ্রুত সড়কটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft