নওগাঁর রাণীনগরে ছাত্রীর সাথে অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিও ভাইরাল হওয়া সেই শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুকে অপসারন ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা চত্বরে নিরাপদ সমাজ চাই (নিসচা)র ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় নিরাপদ সমাজ চাই (নিসচা)র ব্যানারে উপজেলা পরিষদ চত্বরে রাণীনগর-আবাদপুকুর সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিসচার উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক মেজবাউল হক লিটন সভাপতিত্ব করেন। এতে কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক মোস্তাক হোসেন, পাভেল রহমান, সদস্য জিল্লুর রহমান, সচেতন সমাজের পক্ষে রকি আহম্মেদ, মোস্তফা হোসেন, এমদাদ ইসলাম, প্রভাষক জাকির হোসেনসহ এলাকার লোকজন মানববন্ধনে অংশ নেয়।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা মানববন্ধন শেষে সহকারী শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটুকে অপসারনসহ তার বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারক লিপি দেয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,শিক্ষক পিটুর অনৈতিক ভিডিও ছড়িয়ে পরার পর থেকে ইজ্জত সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে শংকিত হয়ে পরেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তাই বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিরাপদ পরিবেশে ফিরে দিতে শিক্ষক পিটুকে অপসারন ও বিচারের দাবি জানান। বক্তারা আরো বলেন,আগামী ৭দিনের মধ্যে অপসারন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বৃহত্তর স্বার্থে আরো কঠিন সিন্ধান্ত নেয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেয়া হয়।
এর আগে গত এক মাস আগে ওই শিক্ষককে অপসারন পূর্বক বিচারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২০২১সালের মে মাসে একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী ও একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গ্রন্থাগারীক) সাদেকুল ইসলাম পিটুর অনৈতিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে। এঘটনায় ওই শিক্ষকের অপসারন ও বিচার দাবিতে অভিভাবকরা ফুসে ওঠেন। নতুন করে শিক্ষক পিটুকে অপসারন ও বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার মানববন্ধন ও নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হয়।
শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম পিটু বলেন, অনৈতিক কর্মকান্ডের ভিডিওটিতে কে বা কাহারা আমার ছবি আর ওই ছাত্রীর ছবি ব্যবহার করে ফেক আইডির মাধ্যমে প্রচার করেছিল। তার পরেও এঘটনায় ২০২১ সালেই তদন্তে কোন প্রমান পায়নি। এর পরেও আমাকে হয়রানী করতেই একের পর এক এসব মানববন্ধন বা অভিযোগ করা হচ্ছে।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন বলেন, একটি স্মারক লিপি পেয়েছি। এছাড়া আগের দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।