প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:২৭ অপরাহ্ন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কলেজ শিক্ষার্থী ছেলের সাথে যোগ দিয়ে রাজধানীতে গুলিবিদ্ধ হন পটুয়াখালীর দশমিনার বাবলু মৃধা (৪৮) ৫০ দিনের মাথায় চিকিৎসাধীন অবস্থা মৃত্যুবরণ করেন ।
গতকাল সোমবার (০৯) সেপ্টেম্বর বেলা ৯:টার দিকে ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা জয় বাবুল।
নিহত বাবলু উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড খারিজা বেতাগি গ্রামের বৃদ্ধ মফিজ আলী মৃধা ও হনুফা বেগম দম্পতির দ্বিতীয় ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর শনিআখড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। তিনি রাজমিস্ত্রীর কাজ করে যা বেতন পান তাই দিয়ে চলতেন তাদের সংসার ও দুই ছেলের পড়ালেখার খরচ চালাতেন। বড় ছেলে রাজধানীর ধনিয়া কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবু তালিবকে (১৭) নিয়ে বাবলু শনির আখড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ছোট ছেলে মাহিম (২) কে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন স্ত্রী সীমা বেগম (৩৫)।
নিহত বাবলু মৃধার স্ত্রী সীমা বেগম জানান, গত ২০ জুলাই বড় ছেলে এইচ এস সি প্রথম বর্ষের ছাত্র আবু তালেব সজিবের সাথে শনিআখড়া এলাকায় কোঠা বিরোধী আন্দোলনে গিয়ে বুকে গুলিবিদ্ধ হন বাবলু মৃধা। পরে ছেলের সহায়তার স্থানীয়রা বাবলু মৃধাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।পরে তার অবস্থার অবনতি ঘটায় ঢাকা সিএমএইচএ স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ০৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৯টায় তার মৃত্যু হয়।
বাবলু মৃধার ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম জানান, আমার বড় ভাই বাবলু মৃধা দীর্ঘদিন যাবত ঢাকায় তারা স্বামী-স্ত্রী ও দুই ছেলেদেরকে নিয়ে সুখে ছিলেন। ছেলেদের লেখা পড়া শিখিয়ে মানুষের মত মানুষ করতে চেয়েছিলেন বলে তিনি ঢাকায় চলে যান। হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে সংসার ও বড় ছেলের লেখাপড়ার খরচ রোজগার করতেন তিনি। এখ তার মৃত্যুতে পরিবারটিতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে।
এদিকে আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিহত বাবুলের প্রথম জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বি কমিটির অন্যতম সদস্য মোঃ হাসান মামুন সহ বৈষম্য ছাত্রবিরোধী আন্দোলনের হাজারো ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
এরপরে মঙ্গলবার রাতে দশমিনা উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়ন তার নিজ বাড়িতে দ্বিতীয় নামাজের জানাজা পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।