প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪:২৩ অপরাহ্ন
মেহেরপুরে জামায়াত নেতা তারিক হত্যাকান্ডে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও এসপি নাহিদসহ ১৯ জনের নামে মামলা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-২ এর আদালতে নিহত তারিকের ভাই তাওফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শারমিন নাহার মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইআর এর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, তারিক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আলহাজ্ব মোঃ ছমির উদ্দিনের বড় ছেলে এবং বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর মেহেরপুর জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। সেসময় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করার সম্ভাবনা থাকায় ভিন্নমতের নেতৃত্বকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আসামিগণ পরিকল্পনাভাবে ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি মেহেরপুর শহরের বামনপাড়া শ্মশান ঘাটে রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে তাকে গুলি করে হত্যা করে। এই মামলায় সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মেহেরপুরের সাবেক পুলিশ সুপার এ কে এম নাহিদুল ইসলাম, মেহেরপুরের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলার সাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মুমিন মজুমদার, গাংনী-৬ র্যাব ক্যাম্পের সাবেক ক্যাপ্টেন আশরাফ হোসেনসহ ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক সারমিন নাহার মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআর এর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বাদী তাওফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৫ তারিখে সরকার পতনের পর বিভিন্ন তথ্য উপাত্য সংগ্রহ করে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মামলার জন্য আবেদন করেছি। আদালত আমাদের আমাদের মামলাটি গ্রহণ করে এফআইআর এর নির্দেশ দিয়েছেন। এখানে আমি চাইবো যে কয়জনকে আসামি করা হয়েছে সকলের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় এবং এটি যেন একটি উদাহরণ হয়ে থাকে।
মামলার বিষয়ে অ্যাড. মারুফ আহমেদ বিজন বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে মেহেরপুর সদর থানাকে এফআইআর এর নির্দেশ দিয়েছেন। মেহেরপুরে আলোচিত এই মামলাটিতে আমরা ন্যায় বিচার পাবো বলে বিশ্বাস করি।
একই সাথে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর রায়কে কেন্দ্র করে জামায়াতের সাবেক আমির আলহাজ্ব মোঃ ছমির উদ্দিনের বাড়ি ও বাড়ির নিচে দোকানে অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ২৩ জনকে আসামি করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাটিও আদালত এফআইআর এর নির্দেশ দিয়েছেন।