প্রকাশ: সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৫:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০৭ অপরাহ্ন
উৎপাদন শুরুর দুই দিনের মাথায় আবারও বন্ধ হয়ে গেছে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রম। আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে বিদ্যুৎবিভ্রাটের শঙ্কায় পড়েছে উত্তরাঞ্চল।
সর্বশেষ গত ৭ সেপ্টেম্বর অকেজ ইলেকট্রো হাইড্রোলিক অয়েল পাম্প মেরামতের মাধ্যমে ইউনিটটি চালু করা হলে দুই দিনের মাথায় সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে আবারও যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে বন্ধ হয়ে যায় সব কার্যক্রম।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কথা বলতে রাজি হননি।
জানা যায়, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল।
পাঁচ বছরের চুক্তি মোতাবেক আগামী বছর তাদের মেয়াদ শেষ হবে। চুক্তি অনুযায়ী, এ সময় উৎপাদন সচল রাখতে ছোট মেরামত ও যন্ত্রাংশ সরবরাহের কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, তৃতীয় ইউনিট থেকে বর্তমানে উৎপাদিত ১৯০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল। এটি চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ মেট্রিক টন কয়লা লাগছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে দৈনিক কয়লা সরবরাহ করা হয় প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৫ হাজার ২০০ মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন। তবে এর আগে তিনটি ইউনিট একই সঙ্গে কখনোই চালানো সম্ভব হয়নি।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘চীন থেকে মেশিন নিয়ে এলে উৎপাদন শুরু করা যাবে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বিকল্প যন্ত্রাংশ দিয়ে এত দিন এ ইউনিট চালানো হয়েছে। আজ সকাল ৬টা ৬ মিনিটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা মেরামত করা হয়। এরপর সকাল ১১টার দিকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় কার্যক্রম।’
বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকায় পার্বতীপুর উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের আট জেলায় চরমভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্নিত হয়। ফলে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।