বরগুনার তালতলীতে ইউপি সদস্য জামাল খানের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে ঐ এলাকার প্রায় ৬ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নিয়ে এ হামলার কঠিন বিচার দাবি করেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নিদ্রা বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাচ্চু মিয়া, ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন, শাকিল খান, নান্টু ও জয়নালসহ সকল ইউপি সদস্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লক্ষি পরিবহন নামের একটি স্টিলবডি (ট্রলার) স্থানীয় সোহাগ আকন, বেলাল ও ইব্রাহিমসহ কয়েকজন চুরি করে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নিদ্রা স্লুইজঘাট খালে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ইউপি সদস্য জামাল খান প্রশাসনকে জানালে স্টিলবডি ট্রলাটি তার জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। পরে এই খবর পেয়ে তালতলী শহর থেকে স্বাস্থ্য সহকারী আবু কালাম, বিএনপি সর্মথক আল আমিন, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন-আহবায়ক বশির উদ্দিন, সাংবাদিক নাঈম ইসলাম ও সাংবাদিক শাহাদাত হোসেনসহ ২৫ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আনুমানিক শনিবার রাত ১১ টার দিকে ইউপি সদস্য জামাল খানকে ঘুম থেকে উঠায়। পরে ঐ ইউপি সদস্যকে চোরাই ট্রলারটি নেওয়ার জন্য টাকার প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় ইউপি সদস্য বাধা দিল আবু কালাম, সাংবাদিক নাইম ও শাহাদাতসহ তারা মারধর করে মাথা ফাটিয়ে ও বিবস্ত্র করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে পাঠালে অবস্থার অবনতি দেখে পটুয়াখালী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সোমবার বেলা ১১ টার দিকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে ইউপি সদস্য শাকিল খান ও জসিম উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসীদের সাথে দুই সাংবাদিক যে এভাবে রাতের আধারে হামলার সাথে জড়িত হবে এটা আমরা আশা করি নাই। এই হামলাকারীদের কঠিন বিচারের দাবি করছি সরকারের কাছে। হামলাকারীদের কঠিন বিচার না হলে আমরা জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে পরবর্তীতে আরও আন্দোলন করবো।
তারা আরও বলেন, সাংবাদিক নাইম ও শাহদাৎ এই হামলার সাথে সরাসরি জড়িত। এই দুই সাংবাদিকের সঠিক বিচার না হলে সাংবাদিকদের ওপর সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে।
এবিষয়ে আহত ইউপি সদস্য জামাল খান মুঠোফোনে বলেন, আমি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে আছি। সুস্থ্য হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি। তা না হলে জনপ্রতিনিধিদের ওপরে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ হবে না।