প্রকাশ: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪, ৬:৫৯ অপরাহ্ন
কুমিল্লায় পায়ে শিকল বেঁধে নির্মম নির্যাতনের শিকার সেই হাতিটি উদ্ধার করে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের হাতিশালায় আনা হয়েছে।
আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে গণমাধ্যমে এ তথ্য জানান, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম।
এর আগে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে হাতিটি উদ্ধার করে কুমিল্লা বন বিভাগ।
কুমিল্লার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জিএম মোহাম্মদ কবির বলেন, একটি হাতির পায়ে শিকল বেঁধে নির্মম ভাবে নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। বিষয়টি আমাদের নজরে এলে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি। পাশাপাশি ওই ভিডিওটি যাচাই করে তা শনাক্তের পরে হাতিটিকে উদ্ধার করতে মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশনা মোতাবেক বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার সোনাই উল্ল্যাহ এলাকা থেকে হাতিটি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, হাতির সাথে থাকা তিনজন মাহুত দোকানপাটে ঘুরে ঘুরে টাকা তুলতেন। টাকা তোলার সময় হাতিটি হঠাৎ বেপরোয়া হয়ে যায়। গত ২৪ আগস্ট দাউদকান্দি এলাকার বেশ কয়েকটি দোকানে তাণ্ডব চালায় হাতিটি। পরে হাতিটিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সঙ্গে থাকা তিন মাহুত আঘাত করতে থাকে।
সে সময় ঘটনাস্থলে থাকা কেউ একজন এর দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। আমরা ঘটনাটির বিস্তারিত জানার জন্য কাজ শুরু করি। এরই মধ্যে হাতি নির্যাতনের বিষয়টি নজরে আসে পরিবেশ উপদেষ্টার। এরপর তিনি ওই হাতিটিকে উদ্ধারের নির্দেশ দেন এবং হাতিটি উদ্ধার করা হয়।
গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ৭০-৭২ বছর বয়সী হাতি দিয়ে কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন ও পথচারীর নিকট থেকে মাহুত টাকা আদায় করছিলেন। পরে খবর পেয়ে বন ও বন্যপ্রাণী বিভাগের কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে মাউত হাতিটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। হাতিটি জব্দ করে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সাফারি পার্কে নিয়ে আসা হয়। পরে হাতিটি পার্কের হাতিশালায় আলাদাভাবে আটকে (কোয়ারেন্টাইনে) রাখা হয়েছে।