মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
 

চলতি মাসেই ডেঙ্গুতে মৃত্যু দেড়শ ছাড়িয়েছে    অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে আবারও অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে দেশ: ফখরুল    অবিলম্বে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের মুক্তি চাইলেন ফরহাদ মজহার    সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে : শীর্ষ নির্বাহীদের প্রধান উপদেষ্টা    সমগ্র বিশ্বের শ্রেষ্ঠ দৃষ্টিনন্দন ১০ মসজিদ    ধৈর্য্য ধরুন, উসকানিতে সাড়া দেবেন না: উপদেষ্টা আসিফ    অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা : নিহত ৭   
বিদায়ী ভাষণে যা বললেন বাইডেন
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪, ৬:৩২ অপরাহ্ন

নির্বাচনি দৌড় থেকে মাসখানেক আগেই বাইডেন ঘোষণা দেন যে তিনি আর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হবেন না। তিনি চান কমলা হ্যারিস যেন প্রার্থী হন।

আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শেষবারের মতো ভাষণ দিয়েছেন জো বাইডেন।

বাইডেন তার বিদায়ী ভাষণে দেশের গণতন্ত্রের বিপদ সম্পর্কে সবাইকে সাবধান করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের সামনে বিপদ স্পষ্ট। ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন অতি দক্ষিণপন্থিরা উৎসাহিত হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

বাইডেন যখন কথা বলতে উঠেন, তখন ডিএনসি-তে যোগ দেওয়া দলের সমর্থকরা বলতে থাকেন, “থ্যাংক ইউ বাইডেন”। তাদের হাতে ধরা ছিল পোস্টার। তাতে লেখা “লাভ ইউ বাইডেন”। কয়েক মিনিট ধরে চলে এই দলের কর্মীদের এই স্লোগান। আবেগতাড়িত বাইডেনের চোখে পানি চলে আসেন। এরপর দলের কর্মীদের কাছে তার বিদায়-ভাষণ শুরু করেন তিনি।

এ বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মাসখানেক আগেই বাইডেন ঘোষণা করেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। তিনি চান, কমলা হ্যারিস প্রার্থী হোক। তারপর দলের এই সম্মেলন হচ্ছে। এই সম্মেলনের গুরুত্ব হলো, দল যে একজন প্রার্থীকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে তা দেখানো।

বাইডেন বলেন, “ট্রাম্প তো পুতিনের সামনে ঝুঁকে পড়েন। আমি কখনো তা করিনি। কমলা হ্যারিসও করবেন না।”

বাইডেন আরও বলেন, “আমেরিকায় রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো জায়গা নেই। যখন জিতবে, তখনই শুধু বলবে, দেশকে ভালোবাস, এটা হয় না। আমেরিকায় ঘৃণারও কোনো স্থান নেই।”

নিজের সাফল্যের কথাও তুলে ধরে বাইডেন বলেন, “দেশের উন্নতির পথে একটা অসাধারণ চার বছর সময় আমরা কাটিয়েছি। আমেরিকার অর্থনীতি এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী অর্থনীতি। মানুষের রোজগার বেড়েছে। মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। ওষুধের দাম কমানো সম্ভব হয়েছে।”

বাইডেন তার প্রশাসনের প্রশংসা করে বলেন, “প্রশাসনিক কাঠামোর ক্ষেত্রে প্রকল্পগুলির রূপায়ণ হয়েছে। কিন্তু ট্রাম্পের আমলে কোনো কাজই হয়নি।”

দীর্ঘ ভাষণের শেষে বাইডেন বলেন, “আমেরিকা, আমি আমার সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করেছি।”

ডেমোক্র্যাটদের এই সম্মেলন যেখানে হচ্ছে, তার কাছে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা একটি প্রতিরোধ ভেঙে ঢুকে পড়েন। পুলিশ কিছু মানুষকে গ্রেপ্তার করে।

এ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, “বিক্ষোভকারীদের কথায় একটা যুক্তি আছে। দুই পক্ষেই প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে।”

ধন্যবাদ জানালেন কমলা হ্যারিসকে

কমলা হ্যারিস এর আগে বলেন, তিনি বাইডেনের প্রতি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবেন।

কমলা বলেন, “আমি আমাদের অসাধারণ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রচার শুরু করতে চেয়েছিলাম। তার ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও সারা জীবন ধরে দেশসেবার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: মো. আক্তার হোসেন রিন্টু
বার্তা ও বাণিজ্যিক বিভাগ : প্রকাশক কর্তৃক ৮২, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীন সড়ক (৩য় তলা) ওয়্যারলেস মোড়, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭।
বার্তা বিভাগ : +8802-58316172. বাণিজ্যিক বিভাগ : +8801868-173008, E-mail: dailyjobabdihi@gmail.com
কপিরাইট © দৈনিক জবাবদিহি সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত | Developed By: i2soft