প্রকাশ: সোমবার, ১২ আগস্ট, ২০২৪, ৭:৩২ অপরাহ্ন
ফরিদপুর-ঢাকা রুটে পরিবহন সিন্ডিকেট বন্ধে ছাত্র-জনতা মানববন্ধন ও স্বারকলিপি দিয়েছে জেলা প্রসাশকের কাছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন শেষে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়।
ছাত্র জনতার পক্ষে স্বারক লিপিটি প্রধান করেন মোঃ মুজিব হোসেন।
সেখানে বলা হয়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ছাত্র জনতার বিজয় অর্জন হয়েছে। কিন্তু আমরা অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি বাংলাদেশের মধ্যে একমাত্র ফরিদপুর জেলার একটি কোম্পানি ফরিদপুরের সবগুলো পুরাতন পরিবহন কিনে নিয়ে একচেটিয়া বাজার সৃষ্টি করেছে এবং দীর্ঘদিন যাবত সরকার নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বেশি টাকা নিয়ে ফরিদপুরের জনগণের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছে, এই রুটে বিভিন্ন সময়ে অন্য পরিবহন সার্ভিস দেওয়ার চেষ্টা করলেও তারা অদৃশ্য ভাবে সেটা বন্ধ করেছে। সারা দেশে অন্যায় অবিচার ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠেছে। আমরা ফরিদপুরবাসীও তার ব্যতিক্রম নই। আমরাও তাদের দীর্ঘদিনের প্রতারণার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।
তারা যে সিন্ডিকেট তৈরি করেছে অনতিবিলম্বে সেই সিন্ডিকেট প্রতিহত করতে ও প্রতিযোগিতামূলক উন্মুক্ত বাজার তৈরিতে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জেলা যাত্রী ও নণ্য পরিবহন কমিটির জরুরি সভার আযোজন করে 'বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক লাইসেবা প্রান্ত যে কোন পরিবহন 'ঢাকা (সায়েদাবাদ) থেকে ফরিদপুর, ডায়া-পদ্মা বহুমুখী সেতু, ভাঙ্গা রেস্ট নং-৩৩৩) এবং ঢাকা (গাবতলী) থেকে ফরিদপুর (রুট নং-৬২), এ কোম্পানির নিজস্ব সময়সূচী মোতাবেক যাত্রী পরিবহন করতে পারবে” এই মর্মে পরিপত্র জারি করার অনুভাধ জানাই।
জেলা প্রশাসকের নিকট তারা এসময় অনুরোধ করেন, জেলা যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির জরুরি সভার আযোজন করে 'ঢাকা (সায়েদাবাদ) থেকে ফরিদপুর, ভায়া-পদ্মা বহুমুখী সেতু, ভাঙ্গা (রুট নং-৩৩৩) এবং ঢাকা (গাবতলী) থেকে ফরিদপুর (রুট নং-৬২) এবং ফরিদপুর থেকে অন্য যে কোন রুটে বাংলাদেশে লাইসেন্স প্রাপ্ত যে কোন পরিবহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে সকল ফরিদপুরবাসীদের পরিবহন সিন্ডিকেটের হাত থেকে রক্ষা করুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আবরার নাদিম ইতু, আহমেদ সৌরভ, ইঞ্জিঃ মোঃ পারভেজসহ ছাত্র-জনতা।