প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪, ৫:৩৪ অপরাহ্ন
ফরিদপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে দুইজন গুরুতর আহতসহ অন্ততপক্ষে পাঁচ আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন। আহতদের তাৎক্ষনিকভাবে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছে- গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক বিভাগের সাবেক ছাত্র ও শহরের ঝিলটুলী এলাকার বিল্লাল কাজীর পুত্র কাজী নিশাত আহমেদ (২৫) ও সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সে অধ্যায়ণরত আবরার নাদিম ইতু (২৬)।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোটা আন্দোলনকারীদের উপর হামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে শহরের ব্রাহ্মসমাজ সড়কের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। সেখানে তারা সড়কে বসে নানা শ্লোগানে মুখরিত করে তোলেন। এক পর্যায়ে বেলা সোয়া ১১ টার দিকে সেখানে অর্ধশত ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ছুটে আসে। এসময় লাঠিসোটা ও হকিস্টিক দিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা চালায়। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।
এদিকে আন্দোলনকারীদের উপর হামলার ঘটনায় সেখানে জড়ো হচ্ছে আরও সাধারন শিক্ষার্থীরা।
হামলার বিষয়ে আহত আবরার নাদিম ইতু বলেন, আমাদের কর্মসূচি শুরু হতে না হতে হতেই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে অতর্কিতভাবে হামলা করে। আমার সহকর্মীরা পরে গেলে তাদের উঠাতে যাই। এ সময় আমার পরিচিত মুখই হামলা চালায়। আমাদের প্রত্যেকের মাথায় আঘাত করেছে তারা। আমাদের দেখে নেয়ারও হুমকি দিয়ে গেছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা প্রতিদিনই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে আসছিলাম। আজও পুলিশের সাথে কথা হয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে আমাদের উপর হামলা চালায়।
পরে আন্দোলনকারীরা শহরের ব্রাহ্মসমাজ রোড থেকে একটি প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মুজিব সড়কের দিয়ে প্রেসক্লাব হয়ে জনতা ব্যাংকের দিকে অগ্রসর হলে তাদেরকে পুলিশ ব্যারিকেট দেয়। সময় তারা প্রেসক্লাবের সামনে কোটার বিরোধিতা করে ছাত্রলীগ কর্তৃক হামলার তীব্র নিন্দা ও বিচার দাবি করে।
এ হামলার বিষয়ে তাৎক্ষনিক কথা বলতে রাজি হননি পুলিশ কর্মকর্তারা।