প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪, ৭:৪১ অপরাহ্ন
কুড়িগ্রামে গত দুদিন ধরে সবকটি নদনদীর পানি দ্রুত কমছে। কিন্তু সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে জেলার ৯ উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নের ৪ শতাধিক গ্রাম।
এসব এলাকার চর ও দ্বীপচরের প্রায় ২ লাখ মানুষ এখনও পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন।
আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার ও ধরলা নদীর ৫টি পয়েন্টে পানি দ্রুত হ্রাস পেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া, চিলমারী ও হাতিয়া পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে ঘরবাড়ি, চৌকি ও মাচান। অনেকের একমাত্র কলার গাছের ভেলাই ভরসা চলাচলের। বাঁধের রাস্তা ও উঁচু বিদ্যালয়ের দালান ঘরে এবং বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন অনেক বানভাসি। অনেকের ঘরের মজুত খাবার শেষ হয়ে গিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
অপরদিকে, তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। এ নদীতে পানি কমে গিয়ে ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, এখন পর্যন্ত ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, ৩৮৭ মেট্রিক টন চাল, ১৮ হাজার ৯৮০ প্যাকেট শুকনো খাবার বন্যার্তদের জন্য বিতরণ করা হয়েছে। ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত রয়েছে। বানভাসিদের সহায়তায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ৮৩টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।